বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এই ঘটনায় শহরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। রাজনৈতিক মহল অবশ্য গোটা ঘটনার পেছনে রাসমেলাকে কেন্দ্র করে পুরসভার বিদায়ী তৃণমূল বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আশিস দত্ত এবং দলের টাউন ব্লক সভাপতি দীপ্তবাবুর ইগোর লড়াই দেখতে পাচ্ছে। এই ঘটনায় ওই দুই নেতার লড়াইয়ে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। যদিও দীপ্তবাবু ও আশিসবাবু দু’জনেই তা অস্বীকার করেছেন।
পুরসভার প্রশাসক কৃষ্ণাভ ঘোষ বলেন, পুরসভার সাফাই কর্মীদের আমিই নির্দেশ দিয়েছিলাম রাসমেলার মাঠ পরিষ্কার করে ওই কাজের ছবি তুলে রাখতে। পুর কর্মচারীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আন্দোলনের জন্য নাগরিকদের পুর পরিষেবা যাতে বিঘ্নিত না হয় তা পুর কর্মচারীদের বলা হয়েছে। পুর কর্মচারীরা সকলেই কাজেই ছিলেন। পুর অফিসে মঙ্গলবার কোনও কর্মবিরতি হয়নি।
পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা তৃণমূলের টাউন ব্লক সভাপতি দীপ্তবাবু বলেন, রাসমেলার মাঠে পুরসভার কোনও সাফাই কর্মীকে আমি বা অন্য কেউ গালিগালাজ বা হেনস্ত করেনি। আমার বদনাম করতেই এসব অপপ্রচার চলছে। আসলে দুর্গাবাড়ি রাসমেলাকে ভণ্ডুল করতেই অদৃশ্য অঙ্গুলি হেলনে এসব করা হচ্ছে।
অন্যদিকে পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আশিসবাবু বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। রাসমেলার সঙ্গে পুর কর্মচারীদের আন্দোলনের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে কাজ করতে গিয়ে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে পুর কর্মচারীরা তো আন্দোলন করবেই।
পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে কালজানি নদীর পাশে একটি ক্লাবের মাঠে গত কয়েকদিন ধরে আলিপুরদুয়ারের ঐতিহ্যবাহী দুর্গাবাড়ি রাসমেলা চলছে। পুরসভার প্রশাসকের নির্দেশে পরিবেশ বিভাগের কর্মীরা প্রতিদিন সকালে গিয়ে মেলার মাঠ পরিষ্কার করছেন। সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ পুরসভার সাফাই কর্মীরা মাঠ পরিষ্কার করছিলেন। পুরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সুময় চক্রবর্তী বলেন, সেই সময় রাসমেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপ্তবাবু মাঠ ঠিকমতো পরিষ্কার না হওয়া ও ছবি তোলার জন্য আমাকে গালিগালাজ করে। প্রাক্তন কাউন্সিলারের অনুগামী এক যুবক আমাকে সেখানে ধাক্কাও দেয়। কাজ করতে গিয়ে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনে যেতে হয়েছে।
পুরসভার করণিক তথা তৃণমূল সমর্থিত পুর কর্মচারী ফেডারেশনের রাজ্য সহ সভাপতি সুব্রত সরকার বলেন, এদিন আমাদের কর্মীদের হেনস্তার প্রতিবাদে আন্দোলন করেছি। প্রশাসকের আশ্বাসে আন্দোলন তুলেও নিয়েছি। তবে আগামী দিনে এরকম হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়া হবে।