কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম আশুতোষ দত্ত(৪৪) এবং তাঁর স্ত্রীর নাম গীতা দত্ত(৩৯)। আশুতোষবাবু চাষের কাজে যুক্ত ছিলেন। গীতাদেবী গৃহবধূ ছিলেন। ওই দম্পতির একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। কেন হঠাৎ করে স্বামী ও স্ত্রীর মৃত্যু হল তা নিয়ে সন্দিহান পরিবারের সদস্য ও গ্রামের বাসিন্দারা। পুলিস ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। দম্পতির এই অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মৃতের দাদা পরিতোষ দত্ত বলেন, কেন এমন হল তা আমরা বুঝতে পারছি না। হয়তো বাজারে কোনও কারণে ধার দেনা হতে পারে। সেজন্য এই ঘটনা কি না বুঝতে পারছি না। ভাই পরিবারের কাউকেই কিছু জানায়নি।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন নন্দী বলেন, এলাকায় এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরে ওই ব্যক্তির বাড়ি থেকে তাঁর স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। কেন এমন হল আমরা তা বুঝতে পারছি না। পুলিসকে ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে বলেছি। কোচবিহারের ডিএসপি(সদর) সমীর পাল বলেন, টাকাগছে এক বাড়ি এবং বাড়ি থেকে কিছুটা দূর থেকে এক দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার কারণ জানতে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ওই এলাকার কয়েকজন মাঠে ধান কাটতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় আশুতোষবাবুর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। সকাল বেলা এমন দৃশ্য দেখে কার্যত হতচকিত হয়ে যান বাসিন্দারা। তাঁরাই তড়িঘড়ি ছুটে যান আশুতোষবাবুর বাড়িতে। সেখানে তাঁর স্ত্রীকে ডাকাডাকি করেও কোন সাড়া পাননি তাঁরা। এরপর বাড়ির ভিতরে ঢুকলে তাঁরা দেখতে পান, বাড়ির উঠোনে তুলসীতলার পাশে মৃত অবস্থায় গীতাদেবী পড়ে রয়েছেন। এরপরেই এলাকায় দ্রুত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সেইসঙ্গে কোতোয়ালি থানায় খবর দেওয়া হয়।
আশুতোষবাবু সামান্য জমিতে ধান ও সব্জি চাষ করতেন। তাঁদের একমাত্র মেয়ে মৌসুমী দত্তের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে স্বামী স্ত্রী দু’জনেই থাকতেন। কোনওকিছু নিয়ে কোনও অশান্তির খবরও তেমনভাবে কেউ জানতেন না। তাহলে কেন ওই ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেল আর তাঁর স্ত্রীর মৃহদেহ বাড়ির উঠোনেই পড়ে রইল তা নিয়ে ধন্ধ দেখা দিয়েছে। স্ত্রীকে খুন করে আশুতোষবাবু আত্মঘাতী হয়েছেন, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তা পুলিস খতিয়ে দেখছে।