বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এসজেডিএ’র চেয়্যারমান বিজয়বাবু বলেন, আমরা জলপাইগুড়ি জেলায় এসজেডিএ’র অধীনে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করছি। এদিন ওসব কাজের গতি খতিয়ে দেখি। প্রকল্প এলাকার সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ীদের অভাব অভিযোগ শুনেছি। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের দাবি মতো পরবর্তী পরিকল্পনা নেওয়া হবে। আমরা জানিয়ে দিয়েছি, রাজবাড়ি দিঘি এলাকায় বিনা অনুমতিতে কোনও ধরনের অনুষ্ঠান করা যাবে না। এরজন্য সেখানে এসজেডিএ শীঘ্রই নোটিস ঝুলিয়ে দিবে।
সম্প্রতি জলপাইগুড়ির রাজবাড়ি দিঘি এলাকায় একটি সংস্থার উদ্যোগে নাচগানের আসর বসেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, সেদিনের অনুষ্ঠানে এমনকিছু অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির নাচ হয়েছিল যা নিয়ে পরবর্তীতে স্থানীয় বিদ্বজনেরা সমালোচনায় সরব হয়ে প্রতিবাদ মিছিলও করেছিলেন। এসজেডিএ রাজবাড়ি দিঘি চত্বরে নোটিস ঝোলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসজেডিএ’র বিনা অনুমতিতে কোনও অনুষ্ঠান সেখানে করা যাবে না, এটা ওই নোটিসে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এদিন বিজয়বাবু জলপাইগুড়ি শহরে তরুণ দল ক্লাবের কাছে কান্তেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেন। মন্দির সংলগ্ন এলাকার সৌর্ন্দায়নের কাজ দেখার পরে দেশবন্ধুপাড়া হাইস্কুল প্রাঙ্গণে শিশুউদ্যানের কাজ দেখতে যান। শিশুউদ্যানের কাজ ধীর গতিতে চলছে বলে অভিযোগ ছিল। এদিন তিনি সেখানে গিয়ে কাজ খতিয়ে দেখে আগামী মাসে তা শেষ করতে ঠিকদার সংস্থাকে নির্দেশ দেন। সেখান থেকে তাঁর গাড়ি যায় রাজবাড়ি দিঘি চত্বরে। এই এলাকাটি এসজেডিএ’র অধীনে রয়েছে। সেখানে সম্প্রতি একটি নাচগানের অনুষ্ঠান হয়। ওই অনুষ্ঠান ঘিরে শহরের বিশিষ্টজনেরা সবর হয়েছিলেন। অভিযোগ, এসজেডিএ’র জায়গায় বিনা অনুমতিতে অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। রাজদিঘি চত্বরে যথেচ্ছভাবে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে। চেয়ারম্যান সেখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। বিনা অনুমতিতে রাজবাড়ি দিঘি প্রাঙ্গণে কোনও অনুষ্ঠান না করার জন্য আধিকারিকদের নোটিস ঝুলিয়ে দিতে নির্দেশ দেন। যাতে প্লাস্টিক ব্যবহার করা না হয় সেজন্য আলাদা করে নোটিস দিতে বলেন। শহরের সংস্কৃতিপ্রেমীদের জন্য সেখানে মুক্তমঞ্চ গড়ার পরিকল্পনা এদিনই নেওয়া হয়। রাজবাড়ি দিঘি ঘুরে বিজয়বাবু ময়নাগুড়ির জল্পেশে যান। সেখানে কয়েকটি কাজ তিনি ঘুরে দেখেন। জল্পেশ মন্দিরের পাশে খেলার মাঠে মুক্তমঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে। সেই কাজও দেখেন। মন্দির পাশের হাটটি সৌর্ন্দায়নের পরিকল্পনা কথা জানান। সৌন্দর্যায়নের জন্য হাট স্থানান্তর করতে হবে বলে ব্যবসায়ীদের বলেন। শেষে চেয়ারম্যান বলেন, ব্যবসায়ীরা এতে রাজি হয়ে জমিটি সৌন্দর্যায়নের জন্য এসজেডিএ’কে দিলেই আমরা কাজ শুরু করে দেব।