পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তবে কালিয়াচকের তিনটি ব্লক, মানিকচক ও ইংলিশবাজারের মতো দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের আওতায় থাকা ব্লকগুলি মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এব্যাপারে মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, উদ্বোধন ও শিলান্যাস করা যাবে এমন প্রকল্প সমূহের তালিকা আমরা রাজ্যস্তরে পাঠিয়ে দিয়েছি। এব্যাপারে রাজ্য যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে।
মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, শিলান্যাস হতে চলা প্রকল্পসমূহের জায়গা নির্ধারণের পিছনে রাজনৈতিক কোনও অভিসন্ধি নেই। জেলার বিভিন্ন ব্লক এলাকা থেকে উঠে আসা দাবি-দাওয়া ও সমস্যার কথা বিবেচনা করেই ওই প্রকল্পগুলি ঠিক করা হয়েছে। প্রয়োজন ও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রকল্প বাছাই করা হয়েছে।
উত্তর মালদহের সংসদ সদস্য খগেন মুর্মু বলেন, এজেলায় বিজেপির উত্থানে তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই তারা উত্তর মালদহে সব প্রকল্প ঢেলে দিয়েছে। অথচ গত আট বছরে তৃণমূল সরকার উত্তর মালদহ লোকসভা এলাকায় সেভাবে নজরই দেয়নি। ফলে এখনও পর্যন্ত উত্তর মালদহ রাজ্যের অন্যতম পিছিয়ে পড়া এলাকা বলে গণ্য হয়। মানুষ তৃণমূল সরকারের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করবে না। শিলান্যাস হলেও আগামী দিনে প্রকল্পের রূপায়ণ কতটা হবে, তা নিয়ে আমরা সন্দিহান। আগামী দিনে বিজেপি মালদহ জেলার সামগ্রিক উন্নয়ন করবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার মুখ্যমন্ত্রী বামনগোলা ব্লকে পাঁচটি, চাঁচল-১ ব্লকের দুটি, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকে একটি, হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকে চারটি, রতুয়া-২ ব্লকে দুটি, পুরাতন মালদহে দুটি, হবিবপুরে চারটি ও গাজোল ব্লকে একটি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। শিলান্যাস হতে চলা প্রকল্পগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বামনগোলা ব্লকে ১৩ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চারটি কালভার্ট নির্মাণ, চাঁচলে ৯ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মহকুমা স্তরের প্রশাসনিক কার্যালয় তৈরি, পুরাতন মালদহে ৭ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বেসরকারি শিল্প প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ, হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকে ৭ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাস্তা নির্মাণ প্রভৃতি।
উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তর মালদহ কেন্দ্রে বিজেপি জয়লাভ করে। বর্তমান তৃণমূল জেলা সভানেত্রী মৌসম নুর ওই কেন্দ্রে পরাজিত হন।