কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এলাকার বাসিন্দারা জানান, সম্প্রতি ‘দিদিকে বলো’-তে সমস্যার কথা জানানোর পর হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে সিউড়ি ও হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত বাস পরিষেবা চালু হয়েছে। এজন্য হরিশ্চন্দ্রপুরবাসীর পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তাঁরা। তাই এবার এলাকাবাসী সরাসরি ‘দিদি’র কাছেই হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত নৈশ সরকারি বাস পরিষেবা চালু করার জন্য আবেদন জানাতে চাইছেন।
এলাকাবাসীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, অতীতে হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে কলকাতা নৈশ বাস পরিষেবা চালু ছিল। জরুরি অবস্থায় ট্রেনের বিকল্প হিসাবে ওই পরিষেবা স্থানীয় মানুষের খুবই উপকারে আসতো। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেই পরিষেবা বন্ধ হয়ে রয়েছে। তাই সড়ক পথে হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই বাস পরিষেবা পুনরায় চালু হলে দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য এলাকার পাশাপাশি কলকাতা মহানগরীর সঙ্গে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত হবে। তাতে সাধারণ মানুষ থেকে রোগী,ব্যবসায়ী, ছাত্র-ছাত্রী সব শ্রেণীর মানুষ উপকৃত হবেন।
এপ্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লক-১ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সহ সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির মাধ্যমে হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে ইতিমধ্যে দুটি সরকারি বাস পরিষেবা চালু হয়েছে। আশা করি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আগামী দিনে হরিশ্চন্দ্রপুর-কলকাতা ও হরিশ্চন্দ্রপুর-বর্ধমান সরকারি বাস পরিষেবাও উপহার দেবেন।
মালদহ জেলার শেষ প্রান্ত বিহার সংলগ্ন এলাকা এই হরিশ্চন্দ্রপুর। এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বরাবরই অনুন্নত। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকা বঞ্চনার শিকার। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য আর্থ সামাজিক ভাবে দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে এই এলাকা। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে তাই সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানাতে চান হরিশ্চন্দ্রপুরবাসী।