গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায় বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ থাকায় কয়েক দিন ধরে দপ্তরে যেতে পারিনি। তবে প্রশাসনিক সভায় উপস্থিত হওয়ার কোনও চিঠিও আমি পাইনি। এনিয়ে জেলা প্রশাসনের কেউ আমায় কিছু জানায়নি। প্রশাসন জানালে নিশ্চই সভায় হাজির থাকতাম। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজুদ্দিন সরকার বলেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করে এখন আমরা বিরোধী শিবিরে চলে এসেছি। সাংবিধানিক পদে থাকলেও আমাদের কোনও মূল্য সরকারের কাছে নেই। আমাকে, সভাধিপতিকে কাউকেই প্রশাসনিক সভায় ডাকা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক মিটিং নয়, রাজনৈতিক মিটিং করতে এসেছেন। না হলে আমরা ডাক পেতাম। ওই বৈঠকে আমাদের না ডাকায় আশ্চর্য হচ্ছি না। এটাই স্বাভাবিক।
এনিয়ে বিজেপি জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার বলেন আমাদের দলে যোগদানকারী জেলা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা জনপ্রতিনিধিদের প্রশাসনিক বৈঠকে ডাকেনি জেলা প্রশাসন। যদিও আমরা এতে অবাক হচ্ছি না। মুখ্যমন্ত্রী গণতান্ত্রিক রীতিনীতি বোঝেন না। তাই বিরোধীদের ন্যূনতম মর্যাদা তার সরকার দেয় না। প্রশাসনিক বৈঠকের নামে সাধারণ মানুষের টাকার শ্রাদ্ধ হচ্ছে এখানে। জেলায় অনেক সমস্যা রয়েছে সেগুলি সমাধান করা হোক। তৃণমূল কংগ্রেসের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, আমি জেলা প্রশাসনের প্রধান নই। প্রশাসনিক মিটিংয়ে কে কে আসবেন আমার জানা নেই। এটা প্রশাসন দেখছে। আর মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক মিটিং নিয়ে কে, কী বলল তাতে আমাদের মাথাব্যথা নেই। জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, এবিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।
আজ মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশাসনিক সভা হচ্ছে তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের গড়ে। সেখানে তৃণমূল সুপ্রিমো কোনও রাজহৈনতিক বার্তা দেন কি না সেনিয়েও কৌতূহল রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় বিপ্লবঘনিষ্ঠ সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী জনপ্রতিনিধিরা ডাক না পাওয়ায় প্রশাসনিক কাজে তাঁদের গুরুত্ব আরও কমে গেল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।