বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
সোমবার মাল বিডিওর কক্ষে মালের মহকুমা শাসক রাজীব কুমার, বিডিও বিমান চন্দ্র দাস এবং মাল থানার ওসি অসীম মজুমদার পঞ্চায়েত কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে মহকুমা শাসক বলেন, পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিসকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। এজন্য ২০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় নেওয়া হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে ক্রান্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক সঞ্জীব সরকার বলেন, আমরা নিরাপত্তার অভাবে ভুগছি। এদিকে পঞ্চায়েতে কাজ জমে যাচ্ছে। এদিন মহকুমা শাসকের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয় সেদিকে আমরা তাকিয়ে রয়েছি। প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে আমরা জোরদার আন্দোলনে নামব। যুব তৃণমূলের ক্রান্তি সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি মেহেবুব আলম ওরফে বুলু বলেন, আমাদের ছেলেরা রাজডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়ে আরটিআই করতে গেলে উল্টে তাদের মারধর করে মিথ্যা মামলা করেছে। আমি বা আমরা কাউকে মারধর করিনি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকালে মেহেবুব আলম রাজডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে কাজের বিল চাইতে যান। প্রথমে তিনি অফিসের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট গোপাল মণ্ডলের কাছে যান। সেসময় গোপালবাবু তাঁকে প্রধানের কাছে যেতে বলেন। অভিযোগ, এরপরই তিনি গোপালবাবুর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে তাঁকে ব্যাপক মারধর করেন। এরপর বুলু সাহেব প্রধানের অফিস রুমে গিয়ে প্রধান আব্দুল মোতালেবকে ঘুষি মারেন। এমনকী তাঁর টেবিল চেয়ার ভেঙে দেন। পাশাপাশি বুলু সাহেব দলবল নিয়ে গোটা অফিস চত্বরে ভাঙচুর চালান। এরপরই এলাকার বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে তাড়া করেন। গ্রামবাসীরা একজনকে ধরেও ফেলেন। সন্ধ্যায় প্রধান আব্দুল মোতালেব ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ক্রান্তি ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে ব্লকের ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীরা বিডিও অফিসের সামনে ধর্নায় বসেন।
প্রসঙ্গত এদিন সকাল থেকেই লাটাগুড়ি, মৌলানি, ক্রান্তি, চাপাডাঙা, চেংমারি, রাজাডাঙা, ডামডিম, ওদলাবাড়ি, রাঙ্গামাটি, তেশিমিলা, বাগরাকোট, কুমলাই সহ ব্লকের ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত কর্মী ধর্নায় বসায় পঞ্চায়েত অফিস খোলা থাকলেও কোনও কাজ হয়নি। এদিন দেখা গিয়েছে বহু সাধারণ মানুষ দূরদূরান্ত থেকে পঞ্চায়েত অফিসে এসে হয়রানির শিকার হয়েছেন। কারণ দপ্তরগুলিতে কর্মী না থাকায় কোনও কাজই হয়নি।