বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কোচবিহার জেলার শীতলকুচি ব্লকের গোসাঁইরহাট থেকে সিতাইয়ের আদাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা পর্যন্ত সুদীর্ঘ মাটির উঁচু ঢিবি রয়েছে। স্থানীয়দের কাছে তা গড় নামেই পরিচিত। ঐতিহাসিকদের মতে, ত্রয়োদশ শতকের শেষভাগে কোচবিহারের খেন রাজবংশের রাজাদের রাজধানী ছিল গোসানিমারিতে। সেসময় বহিরাগত শত্রুদের হাত থেকে রাজধানীকে রক্ষা করার জন্য এই সুউচ্চ মাটির সীমানা প্রাচীর তৈরি করা হয়েছিল। বিগত কয়েক বছর আগে সেই গড়ে গাছ লাগিয়েছিল বনদপ্তর। গাছ দেখভাল করার দায়িত্ব দেওয়া হয় ছোটশালবাড়ি ও গোসাইরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতকে। প্রথম দিকে গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে নজরদারি চালানো হলেও বিগত কয়েক বছর ধরে তারা আর নজরদারি করে না। এই সুযোগে দেদার গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়দের অনেকেই মাঝারি ও ছোট গাছ কেটে নিয়ে গিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে। বড় গাছগুলি রাতের অন্ধকারে কেটে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দু’একজন স্থানীয় বাসিন্দা জ্বালানীর জন্য ছোট গাছ কেটে আনছে বটে, কিন্তু বড় বড় গাছ রাতের অন্ধকারে যেভাবে চুরি হচ্ছে তা আটকানোর জন্য পদক্ষেপ না করলে ফাঁকা হয়ে যাবে গড়। গাছ চোরেদের সঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সম্পর্ক ভালো থাকায় এনিয়ে কেউ উচ্চবাচ্য করছে না। প্রশাসনও এনিয়ে পদক্ষেপ করছে না।
এব্যাপারে ছোটশালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের আনোয়ারা বিবি বলেন, গড় কামতেশ্বরের গাছ চুরির বিষয়টি স্থানীয়রা জানিয়েছেন। আমরা পাহারাদার নিয়োগ করার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছি। শীঘ্রই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গোসাঁইরহাট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মদন চন্দ্র বর্মন বলেন, গড় কামতেশ্বরের গাছ চুরির বিষয়টি আমাদের এতদিন জানা ছিল না। সম্প্রতি স্থানীয়রা এব্যাপারে জানিয়েছে। গাছ চুরি রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। এব্যাপারে শীতলকুচির রেঞ্জার অমল রায় বলেন, গড় কামতেশ্বরে আমাদের বনদপ্তরের তরফ থেকে গাছগুলি লাগানো হয়েছিল। পরবর্তীতে গোসাঁইরহাট ও ছোটশালবাড়ি পঞ্চায়েতকে গাছ দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গাছ চুরি হয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।