দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
রবিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর স্টেডিয়াম মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর সভার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন জেলাশাসক ও পুলিস সুপার সহ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান অর্পিতা ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী এদিন স্টেডিয়াম মাঠ ঘুরে দেখে। স্টেডিয়ামের পাশে জেলা পূর্ত দপ্তর অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করেছে। রবিবার দুপুরে হেলিকপ্টারের মহড়াও হয় সেখানে। মাঠের মাঝখানে তৈরি করা হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল। কলকাতার বিশেষ ডেকোরেটর প্রশাসনিক সভার এই প্যান্ডেল তৈরি করছে। জেলা প্রশাসন এদিন বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকও করেছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগে জেলায় সম্পন্ন হওয়া ও চালু বিভিন্ন প্রকল্পের ফাইলপত্র আপডেট করে রাখা হচ্ছে।
জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) কৃত্তিবাস নায়েক বলেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা নিয়ে জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে। হেলিপ্যাড তৈরি করে মহড়াও সম্পন্ন হয়েছে। মঞ্চ তৈরির কাজ অর্ধেকের বেশিটাই হয়ে গিয়েছে। স্টেডিয়াম মাঠের ঘাস ড্রেসিং করা হয়েছে। জেলাশাসক জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। যে দপ্তরকে যা দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে তারা সকলেই ভালো কাজ করছে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান অর্পিতা ঘোষ বলেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক নিয়ে আমাদের জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে। মঙ্গলবার দুপুর ২টোয় স্টেডিয়াম মাঠে অস্থায়ী মঞ্চ করে প্রশাসনিক সভা হবে। আমাদের জেলায় দলীয় কর্মীদের মধ্যে কোনও সমস্যা আর নেই। আগে কী ছিল জানা নেই। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে লড়াই করে তার প্রমাণ দিয়ে দিয়েছি। জেলা পরিষদের যে সমস্ত সদস্য ভুল করে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তাঁদের অনেকেই আজ আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। গঙ্গারামপুর পুরসভা আমাদের দখলে। এখানে একটাই দল তার নাম তৃণমূল কংগ্রেস। প্রশাসনিক সভার পরে মুখ্যমন্ত্রী দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন কি না সেবিষয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না।
গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার বলেন গঙ্গারামপুর স্টেডিয়াম মাঠে আমাদের পুরসভার কর্মীরা মাঠ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছেন। মাঠের আশপাশ এলাকা পরিষ্কার করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে দূর থেকে দেখতে সাধারণ মানুষ ভিড় করবেন স্টেডিয়ামের পাশে। আমরা তাঁদের জন্যও পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখছি। জানা গিয়েছ, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার অস্থায়ী মঞ্চে দুশোর অধিক বসার চেয়ারের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনিক আধিকারিক ও জেলার সমস্ত সরকারি দপ্তরের আধিকারিকরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। সঙ্গে জেলা পরিষদের সদস্য, ১৮টি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ সভাপতি ও গঙ্গারামপুর ও বুনিয়াদপুর পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানরা উপস্থিত থাকবেন।
প্রশাসনিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী দলীয় বৈঠক করবেন কি না সেনিয়ে জেলা তৃণমূলে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। জেলায় দলের হালহকিকৎ নিয়ে অনেকে নেত্রীর কোপের মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কায় রয়েছেন। বিশেষ করে জেলায় দলের কোন্দল নিয়ে যুযুধান বিভিন্ন শিবিরে আশঙ্কা বেশি ছড়িয়েছে। যদিও এনিয়ে রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা বলেন, আমাদের দলে এখন কোনও কোন্দল নেই। এখন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। জেলায় আর আগের পরিবেশ নেই।