কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আজ উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের মূলভবনের ভেতরে ও বাইরে বায়ুর মান মনিটরের দু’টি যন্ত্র স্থাপন করা হচ্ছে। এর একটি বসানো হচ্ছে ছাদে এবং অন্যটি বিভাগের ল্যাবে থাকবে। এটি সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্র। এর পাশাপাশি একটি আবহাওয়া মনিটরও ভবনের ছাদে স্থাপন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মনোরঞ্জন চৌধুরী ও পীয়ূষ মাধুর এই পুরো কাজের দায়িত্বটি নিয়েছেন। তাঁদের তত্ত্বাবধানে এদিন থেকে আগামী একবছরের বায়ুর মানের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মনোরঞ্জনবাবু বলেন, বায়ুর মান নির্ণয় যন্ত্রে দু’টি করে সেন্সার রয়েছে। একটি অকেজো হয়ে গেলে অন্যটি সক্রিয় হবে। প্রতি ৪০ সেকেন্ডে বায়ুর মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপাদানের তথ্য ডিভাইসে থাকা মেমোরি কার্ডে রেকর্ড হবে। প্রতি সপ্তাহে এই তথ্য কম্পিউটারে যাচাই করা হবে। একবছর ধরে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
দিল্লির সোসাইটি ফর ইন্ডোর এনভায়রনমেন্ট সংস্থার সভাপতি তথা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অরুণকুমার শর্মা বলেন, এটা একেবার আধুনিক যন্ত্র। বায়ুর মাত্রা নিরীক্ষণের জন্য আমরা উত্তর ভারতের মোট ১৪টি জায়গায় এই যন্ত্র স্থাপন করব।
ওই সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে রাজস্থান থেকে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় জায়গা বেছে বেছে বায়ুর মান নির্ধারণের মনিটর এবং আবহাওয়া মনিটর স্থাপন করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যোধপুর, আগ্রা, চরকিডাঙি ও চণ্ডীগড়ের গ্রামীণ এলাকায় যন্ত্রটি বসানো হয়েছে। আজ শিলিগুড়ির কাছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বসানো হচ্ছে। নভেম্বরের ২০ তারিখে মথুরা এবং পরে মীরাটের বাঘপাত জেলায় স্থাপন করা হবে। তবে আরও সাতটি জায়গা চিহ্নিত করার কাজ চলছে। বিশেষ করে বড় শহরে বায়ু দূষণের ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায়। এরমধ্যে মানুষের স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা সব থেকে বেশি হয়। দূষিত বাতাসের ফলে কোনও এলাকার আবহাওয়ায় মারাত্মক প্রভাব পড়ে। ওই সংস্থার কর্মকর্তাদের দাবি, একটি বিশেষ বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় তাঁরা দেখেছেন শৈলশহর দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা শেষ কয়েক বছরে শীতকালে অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এই সব বিবেচনা করে বড় শহরের পাশাপাশি ছোট শহরেরও বায়ুর মান যাচাই করে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা উদ্দেশ্যে এমন পদক্ষেপ তারা নিয়েছে।
যন্ত্রগুলি পার্টিক্যুলেট মেটার বা পিএম ১, পিএম ২.৫ এবং পিএম ১০ পর্যন্ত পরিমাপ করবে। পাশাপাশি চারপাশের বায়ুর তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতাও পরিমাপ করবে। বর্তমানে দিল্লি, মুম্বই ও কলকাতার মতো বড় শহরে বায়ুর পিএম ২.৫’র মধ্যে। এই মাত্রা ইউরোপীয় দেশের শহরগুলিতে কখনও পৌঁছয় না। একবছরের তথ্য সংগ্রহ করে তা গবেষণার কাজে মূলত ব্যবহার করা হবে।