কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
জেলার পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতো আমরা মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য সব রকম প্রস্তুতি নিচ্ছি। তাঁকে ঘিরে সর্বদা নিরাপত্তারক্ষীদের ত্রিস্তরীয় বলয় থাকবে।
জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের আইনশৃঙ্খলা ও বেআইনি পাচারচক্র নিয়ে রাজ্য পুলিস প্রশাসনের অন্দরে নিয়মিত চর্চা হয়। ফলে এই জেলা বরাবর গোয়েন্দা সংস্থাগুলির নজরে থাকে। সম্প্রতি মালদহে বেআইনি অস্ত্রের রমরমা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার ইংলিশবাজার, কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায় দুষ্কৃতীদের হাতেহাতে ঘুরছে নাইন এমএমের মতো স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র। ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের সময় ওই অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ওই ধরনের স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র সাধারণত পুলিস এবং নিরাপত্তারক্ষীরা ব্যবহার করে। তা সাধারণ দুষ্কৃতীদের হাতে চলে আসায় জেলা পুলিসের আধিকারিকরা রীতিমতো উদ্বিগ্ন। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে বিষয়টি তাঁরা মোটেই হালকা ভাবে নিচ্ছেন না। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এব্যাপারে পুলিস কর্তারা অতি সর্তকতা অবলম্বন করেছেন।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে সর্বদা উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা থাকে। তাঁর জেলা সফরের সময় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর চারপাশে সর্বদা তাঁর নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা থাকেন। ওই বলয়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। ওই বলয়ের বাইরে রাজ্য সশস্ত্র পুলিস নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে। সশস্ত্র পুলিসের বলয়ের বাইরে লাঠিধারী কনস্টেবল, হোমগার্ড ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের মোতায়েন করা হয়।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ মালদহ কলেজ অডিটোরিয়ামের দুর্গা কিঙ্কর সদনে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। তার আগে তাঁর জেলায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এবারের সফরে সরকারি জনসভা করবেন না বলে এখনও পর্যন্ত স্থির রয়েছে। মঙ্গলবার মালদহে থাকবেন। পরদিন সকালে তিনি জেলা ছাড়বেন। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে বেশকিছু নির্দেশিকা এসেছে। তা নিয়ে আমরা জেলার পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করছি। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যাতে কোনও গলদ না থাকে তা দেখা হচ্ছে।