পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের সানঝাইল পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য মিঠুন রাজবংশী বলেন, প্রায় ২০০ বছরের পুরনো আমাদের পুজো। এবারও আমরা প্রাচীন রীতি মেনেই পুজোর আয়োজন করছি। পুজোর প্রস্তুতি জোরকদমে চলছে। মন্দিরের মধ্যেই পুজো হয়। পুজোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রতিমা বিসর্জন করার নিয়ম রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়মই আমরা পালন করি। এবার পুজোয় নাচ, গান, যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়েছে।
পুরাতন মালদহ শহরের মির্জাপুর মহানন্দা নদী ঘাট রক্ষাকালী পুজো কমিটির সভাপতি মনোজ দাস বলেন, ২০০৩ সাল থেকে পুজো হয়ে আসছে। প্রতিবছরই আমাদের কলস যাত্রা হয়। শহরের ওই পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা মিঠুন মণ্ডল বলেন, আমাদের এই পুজোয় কোনও বলি প্রথা নেই। ফলমূল, ভোগ নৈবেদ্য মাকে উৎসর্গ করা হয়। রাত্রে দেবী মূর্তি গড়ে পুজো হয় এবং রাত্রেই বিসর্জনের নিয়ম রয়েছে।
মহিষবাথানির এলাকার পুজো উদ্যোক্তারা ব্রিটিশ আমলে এই পুজোর শুরু করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেসময় ওই এলাকা ছিল ঝোপ জঙ্গলে ভরা। ধীরে ধীরে সেখানে জনপদ গড়ে ওঠে। সেসময় স্থানীয় কয়েকজন এলাকাবাসীর মঙ্গলকামনায় অন্য গ্রামবাসীরা রক্ষাকালী পুজো শুরু করেছিলেন। তারপর থেকে এই জাগ্রত দেবীর আরাধনা চালিয়ে যান এলাকাবাসী। অতীতে অনেকে মনস্কামনা পূরণের জন্য বলি মানত করতেন। সেই প্রথা এখনও চলে আসছে। আগে ছোট আকারে পুজো হলেও এখন এলাকাবাসীদের উৎসাহে পুজোর বহর বেড়েছে। বর্তমানে মন্দির নির্মাণ করে সেখানে পুজো হচ্ছে। তাতে কালীর প্রতিমা স্থাপন করে সন্ধ্যার মধ্যেই পুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দেন পুজো উদ্যোক্তারা। নিশুতি রাতে বলি হয়। পাঁঠা বলি ছাড়াও চাল, কলা, ফলমূল ইত্যাদি মাকে নৈবেদ্য হিসেবে ভোগ দেওয়া হয়। তারপর পাশের পুকুরে পুজোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। প্রতিবছরই এলাকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সেখানে পঞ্চরস, আলকাপ নাচ, গান, যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়।
শহরের মির্জাপুর নদীঘাট রক্ষাকালী পুজোর দিন এলাকায় কেউ তেল, হলুদ দিয়ে শাকসব্জি খান না। পুজোর দিন সকালে এলাকার মহিলারা কলস নিয়ে শোভাযাত্রায় বের হন। ইংলিশবাজার ব্লকের সদুল্লাপুর থেকে জল ভরে নিয়ে এসে দেবীর বেদি ধোয়ার পর পুজো হয়।