কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
এনিয়ে ইসলামপুর পুলিস জেলার সুপার সচিন মক্কর বলেন, ইসলামপুর পুলিস জেলার পরিকাঠামো উন্নত ও আধুনিক করা হচ্ছে। জেলার সবকটি থানার মোবাইল গাড়িতে উন্নত ট্র্যাকিং ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়েছে। নজরদারিতে সহায়তা করার জন্য ড্রোন আনা হয়েছে। একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। ডালখোলা থেকে চোপড়া পর্যন্ত ৪০০ সিসি টিভি ক্যামেরা থাকবে।
জেলা পুলিস জানিয়েছে, ১৫ থেকে ২০ জানুয়ারির মধ্যে সুসংহত কন্ট্রোল রুম চালু হবে। কন্ট্রোল রুমটি চালু হলে পেট্রোলিং ভ্যানগুলি কোথায় আছে তা জানা যাবে। প্রয়োজন অনুসারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সেগুলিকে নির্দেশ পাঠাতে পারবে। পেট্রোলিংয়ে থাকাকালীন কাছেপিঠে কোথাও পুলিস পাঠানোর প্রয়োজন পড়লে দ্রুত মোবাইল ভ্যানের অবস্থান জেনে সেগুলিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া যাবে। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত যে কোনও ঘটনার দ্রুত মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গেই প্রতিটি থানা এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে। প্রায় ৪০০টি সিসি ক্যামেরার লোকেশন কন্ট্রোল রুমে থাকবে। এর ফলে নজরদারি আরও ভালোভাবে করা সম্ভব হবে। বিভিন্ন সভা কিংবা মিছিলে নজর রাখার জন্য ড্রোন ওড়ানো হবে।
ইসলামপুরকে জেলা করার জন্য অনেক আগে থেকেই দাবি উঠেছে। কিন্তু জেলা না হলেও রাজ্য সরকার পুলিস জেলা করেছে। এর ফলে এলাকায় পুলিসের নজরদারি এমনিতেই আগের চাইতে ভালো হয়েছে। কিন্তু চিকেন নেকের আকৃতির ইসলামপুর মহকুমার একদিকে বিহার ও অন্যদিকে বাংলাদেশ সীমান্ত। ফলে এই এলাকায় বিভিন্ন সময় দেখা গিয়েছে বিহার থেকে দুষ্কতীরা এসে অপরাধ সংগঠিত করে ফের বিহারে গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। গত বুধবার গভীর রাতে ইসলামপুর শহরে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে চাল বোঝাই লরি ছিনতাই হয়েছে। দুষ্কৃতীরা চালকের হাত, পা ও মুখ বেঁধে শহরের বাইরে সড়কের পাশে জঙ্গলে ফেলে দিয়ে লরি নিয়ে চম্পট দিয়েছে। পুলিস সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ঘটনার কিনারা করতে চাইলেও এখনও পর্যন্ত তা করা সম্ভব হয়নি। শহর মধ্যস্থ বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় সড়কে ও শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি থাকলেও কয়েকটি বিকল হয়ে আছে। রাতে জাতীয় সড়কে অনেক অসামাজিক কাজ হয়। কিন্তু সব ক্ষেত্রে তা পুলিসের নজরে আসে না। এসব দুর্বলতা দূর করতেই পুলিস জেলার পরিকাঠামো উন্নত ও আধুনিক করার লক্ষে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এতে অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে আরও সাফল্য মিলবে বলেই পুলিস আধিকারিকরা জানিয়েছেন।