গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
নার্সিংহোমের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, মন্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। এখন তিনি কথা বলছেন। তবে এই পরিস্থিতিতে তাঁর বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামার জন্য রাজবাড়ি স্টেডিয়াম ও পুলিস লাইনে যে হেলিপ্যাড তৈরি হচ্ছে শুক্রবার তার তদারকি করেছেন রবীন্দ্রনাথবাবু। এছাড়া কোচবিহার ল্যান্সডাউন হলে প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করার সময়েও তিনি কিছুটা অসুস্থতা বোধ করেছিলেন। এর পর দলীয় কর্মসূচি থাকলেও তা বাতিল করে দেন। রাতে অসুস্থতা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রথমে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে ইসিজি করা হয়। তারপরেই তাঁকে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে মন্ত্রীর অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাত থেকেই অনুগামীরা ওই নার্সিংহোমের সামনে ভিড় করেন। মন্ত্রীর পরিবার ও ঘনিষ্ঠ মহল জানিয়েছে, তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যেতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রবিবার সকালে তাকে নিয়ে পরিবারের লোকজন কলকাতার উদ্দেশে রওনা হবেন।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, শুক্রবার ল্যান্সডাউন হলে একসঙ্গে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তখনই রবিদা একটু অসুস্থ বোধ করছিলেন। গ্যাসের সমস্যা থেকে এমনটা হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
বেশকিছু দিন ধরে শারীরিক অসুস্থতাকে উপেক্ষা করে তিনি একাধিক দলীয় কর্মসূচী পালন করছিলেন। কোচবিহারে মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে দলীয় ও প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গেও ধারাবাহিক আলোচনায় অংশ নিচ্ছিলেন। তাঁর আকস্মিক অসুস্থতার খবরে তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মীই মুষড়ে পড়েছেন। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।