পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন কানাইয়া কুমার বলেন, জয়েন্ট ফোরামের মাধ্যমে দেশের সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলের কাছে আমরা আহ্বান রাখছি সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সিএবি’র (সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল) বিরোধিতা করুন। তারা যদি বিরোধ না করে তা হলে আমরা সংসদের বাইরের আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করব। আমাদের সেই লড়াই সংসদকে নাড়িয়ে দেবে। এনআরসি নিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করানো হচ্ছে, যারা এই দেশের গরিব মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ তাদের কাছে প্রমাণপত্র নেই। সরকারি অফিসগুলিতে ঘুষ ছাড়া কোনও প্রমাণপত্র তৈরি করা যায় না। এভাবে প্রশাসনিক দুর্নীতিকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আপনারা বুক ফুলিয়ে বলবেন আমি ভারতীয় নাগরিক। এর প্রমাণ আমরা দেব না। আমরা ভারতীয় নাগরিক নই এটার প্রমাণ ওদের করতে হবে। নিয়ম অনুসারে যে অভিযোগ করে তাকেই প্রমাণ করতে হয়। এনআরসিতে কাউকেই দেশছাড়া করতে পারবে না। এর পেছনের রাজনীতি হচ্ছে হিন্দু-মুসলিম রাজনীতিকে হাওয়া দেওয়া। নেতারা বলবে কিছু, আর করবে অন্য কিছু। তারা মুখে বলছে অনুপ্রবেশকারীকে শনাক্ত করা হবে, তাদের এই দেশ থেকে বের করে দিতে চাই। আর শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে চাই। এভাবে ওরা মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। আপনি বাবার ঠাকুরদাকে দেখেছেন? দেখেননি। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে তিনি ছিলেনই না। তেমনি আপনার কাছে প্রমাণপত্র নেই মানে এটা প্রমাণ হয় না যে আপনি ভারতীয় না। ওরা কাউকেই দেশ থেকে বের করতে পারবে না। তাদের উদ্দেশ্য সকলে এনআরসি, এনআরসি করতে থাক আর আমরা এদিকে বিএসএনএলকে বিক্রি করে দেব। রেল বিক্রি করে দেব। এনআরসি নিয়ে সারা দেশে ভয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
চাকুলিয়ার বিধায়ক ফরওয়ার্ড ব্লক দলের আলি ইমরান রমজ ওরফে ভিক্টর এই মঞ্চের উত্তরবঙ্গের কনভেনার। তিনি বলেন, এনআরসি’র প্রথম ধাপ হচ্ছে এনপিআর (ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রার)। এর কোনও এজেন্ট আপনাদের বাড়িতে এনপিআর করতে এলে তাকে মেরে দূর করে দিন। এদিনের সভায় সিপিএমের অনুপস্থিতি নিয়েও কটাক্ষ করেন ভিক্টর। তিনি বলেন, সব দলকেই আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। সিপিএম এই কর্মসূচি বয়কট করেছে। কিন্তু তাতে কিছু আসে যায় না। সিপিএম পার্টির চিন্তাশক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে। তারা জনস্বার্থকে না দেখে ব্যক্তিস্বার্থকে দেখছে। এভাবেই ওই পার্টি আরও মানুষ থেকে দূরে সরে যাবে। একদিন ওই পার্টিতে মানুষ থাকবে না, কয়েকজন নেতা থাকবে।
এই দিনের সভায় চাকুলিয়া বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ ভিড় করে। সভা শুরু আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মাঠ মাতিয়ে রাখে। সভায় সিপিআই নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায়ও বক্তব্য রাখেন। যৌথমঞ্চের সভাপতি প্রসেনজিৎ বসু সভায় উপস্থিত থাকলেও বক্তব্য রাখেননি। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন আজ, রবিবার ইটাহার ও গঙ্গারামপুরে তাদের সভা রয়েছে। দু’টি সভাতেই মূল বক্তা কানাইয়া কুমার।