বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গ্রামবাসীরা বলেন, কাজ না পাওয়ার জন্য জবকার্ডপ্রাপকদের অর্থ উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে রয়েছে। ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমেই গ্রামগুলির উন্নয়নের একাংশ নির্ভরশীল। কাজ না হওয়ায় পরবর্তী ধাপের কাজ এগচ্ছে না। রাস্তাঘাট, কালভার্ট না হওয়ায় গ্রামগুলির যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি স্তব্ধ হয়ে আছে।
গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজে যুক্ত ঠিকাদাররা বলেন, গত চারমাস ধরে বারবার গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে গিয়েও আমরা নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহের ওয়ার্ক অর্ডার পাচ্ছি না। এনিয়ে বিডিও, মহকুমা শাসক, জেলাশাসককে জানানো হয়েছে। কুমারগ্রাম ঠিকাদার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সমীর চক্রবর্তী বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ কাজে যুক্ত কর্মীরা ৪৩টিব মধ্যে মাত্র ছ’টি কাজের অর্ডার দিতে রাজি হচ্ছে। আমরা পুরোটাই একসঙ্গে চেয়েছি। ওয়ার্ক অর্ডার না পাওয়ার জন্য কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা বিভিন্ন গ্রামের কাজ আটকে আছে।
কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপির তিমির দাস বলেন, ঠিকাদাররা ওয়ার্ক অর্ডার নিচ্ছেন না। এর থেকে বেশি কিছু আমি বলতে পারব না। কুমারগ্রামের বিডিও মিহির কর্মকার বলেন, বিষয়টি নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে নিতে বলেছি।
কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে রাস্তাঘাট, নিকাশি নালা, কালভার্ট তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে আছে। এই কাজগুলি হলে গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়। তাছাড়া দীর্ঘ চারমাস ধরে কাজ না পাওয়ার জন্য জবকার্ডধারীদের মধ্যে আর্থিক টানাটানিও শুরু হয়েছে। অনেকেই শ্রমিকের কাজের সন্ধানে চা বাগানে কিংবা বাইরের জেলায় বা রাজ্যে চলে যাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতির জন্য ১০০ দিনের বিভিন্ন কাজের বরাত পাওয়া ঠিকাদাররা সরাসরি গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তাঁদের দাবি, গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ তাঁদের নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ করছে না। ঠিকদারদের সংগঠন তাঁদের এই অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ বিডিও মহকুমা শাসক, জেলাশাসককে ডেপুটেশন দিয়েছে। ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে গ্রামে পাকা রাস্তা, নিকাশি নালা, ক্যানেল এবং কালভার্ট তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে।