পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পেঁয়াজের দামের ঝাঁঝ কমছে না কিছুতেই। আর তাঁর আঁচ এখন সাধারণ গৃহস্থের হেঁশেল থেকে ছড়িয়ে পড়েছে খাদ্য ব্যবসায়ীদের মধ্যেও। গত প্রায় দু’মাস ধরে মালদহের দুই শহর ও গ্রামের যে কোনও বাজারে পেঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে রয়েছে। অগ্নিমূল্য এই পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে হাত পুড়ছে মধ্যবিত্ত বাসিন্দাদের। ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন ফাস্ট ফুডের দোকানদার ও ভাতের হোটেলের মালিকরা। নানা মুখরোচক খাবারে পেঁয়াজ না হলেই নয়। চড়া দামের জন্য তাই খরচ বেড়ে গিয়েছে তাঁদের। আবার ভাতের হোটেলগুলিতে থালার পাশে কাঁচা পেঁয়াজ দেওয়া বহুদিনের চালু রীতি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই রীতি বজায় রাখাটাই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্রেতাদের খাবার টেবিলে বাড়তি গোটা পেঁয়াজ দিতেও দু’বার ভাবতে হচ্ছে। কোনও কোনও হোটেলে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে পেঁয়াজের পরিমাণ। আগে যেখানে গোটা পেঁয়াজ দেওয়া হতো, এখন সেখানে অর্ধেক, কোথাও কোথাও আবার একটা পেঁয়াজ চার ফালি করে দেওয়া হচ্ছে।
মালদহ বণিক সভার সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, শুধু মালদহ নয়, রাজ্যের সব জায়গায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি জেলায় যাতে পেঁয়াজের দাম কমানো যায়। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যে একটা স্থিতিশীল দাম আসবে। তখন তাহলে আর ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কারও সমস্যা হবে না।
সাহাপুর ডিস্কো মোড়ের ধারে ফুটপাতে দুপুরের খাবার বিক্রি করেন সনোকা মণ্ডল। তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন ভাত, ডাল, মাছ বিক্রি করি। আগে খাবারের সঙ্গে ছোট গোটা পেঁয়াজ দিতাম। এখন দিচ্ছি না। কেননা পেঁয়াজের দাম খুব বেড়েছে। এখন ফ্রি-তে পেঁয়াজ দিলে লোকসান হয়ে যাবে। তবুও অনেক খাদ্যরসিক নাছোড়বান্দা হয়ে চান। তখন বাধ্য হয়ে একটা পেঁয়াজ চার ফালি করে দিই।
শহরের কোর্ট স্টেশন চত্বরের ছোট হোটেল ব্যবসায়ী মিঠুন সিংহ, জোৎস্না মণ্ডলরা বলেন, এক কিলো পেঁয়াজের দাম এখন ৬০ টাকা হয়ে গিয়েছে। তবুও আমাদের কোনও উপায় নেই। কিনতেই হচ্ছে। তবে এখন কম পরিমাণে পেঁয়াজ কিনছি। আর এখন খেতে বসে ক্রেতাদের বাড়তি পেঁয়াজ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। পেঁয়াজের দাম না কমলে ব্যবসা করে শান্তি নেই।
মঙ্গলবাড়ির এক ফাস্ট ফুডের ব্যবসায়ী সঞ্জীব রায় বলেন, সন্ধ্যার পর এগরোলে, চাউমিন জন্য ভিড় থিকথিক করে। এগুলি এমন খাবার যে পেঁয়াজ অল্প দিলে স্বাদ পাওয়া যায় না। তাই দাম বাড়লেও আমি কেনার পরিমাণ কমাতে পারছি না। এই পেঁয়াজ দাম আরও বাড়লে কিন্তু এগরোলের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ভোজনরসিক গৌরাঙ্গ সাহা, কার্তিক মণ্ডলরা বলেন, কাজে বেরিয়ে অনেক সময় বাইরে ভাত খেতে হয়। তখন ভাতের সঙ্গে কাঁচা পেঁয়াজ না দিলে খাওয়া জমে না। এখন কেউ কেউ দেখি পেঁয়াজ দেয় না। আবার কেউ কেউ চাইলে একটুখানি পেঁয়াজ দিচ্ছে। আমরাও তো বাজার করি, ব্যবসায়ীদের সমস্যা বুঝি।