কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি বলেন, ডেঙ্গু দমনে বামফ্রন্ট শাসিত শিলিগুড়ি পুরসভা পুরোপুরি ব্যর্থ। ডেঙ্গুতে বাসিন্দাদের মৃত্যু হলেও শহর পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে পুরসভার কোনও হেলদোল নেই। একই অবস্থা বামফ্রন্ট শাসিত শিলিগুড়ি মকুমা পরিষদেরও। খোদ সভাধিপতির নির্বাচনী কেন্দ্র মাটিগাড়ায় ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তাছাড়া সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রামবাসীদের কাছে পৌঁছে দিতেও পারছে না মহকুমা পরিষদ। তাই বামফ্রন্ট শাসিত মহকুমা পরিষদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার শিলিগুড়ি পুরসভার বিরুদ্ধে শহরের হাসমিচকে দিনভর অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে তৃণমূল। তাতে দলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা হাজির ছিলেন। সকলেই ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে পুরসভার ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন। তাদের সেই কর্মসূচি শহরের নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বলে তৃণমূল নেতাদের দাবি। তাই তারা মহকুমা পরিষদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত মহকুমা পরিষদে ধর্না কর্মসূচি চলবে। তাতে দলের জেলা সভাপতি ছাড়াও পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের হাজির হওয়ার কথা। এই কর্মসূচি সুষ্ঠুমতো করার জন্য মহকুমা পরিষদের বিরোধী দলনেতা কাজল ঘোষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শিলিগুড়ি মহকুমায় মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়া এই চারটি ব্লক রয়েছে। এর অধীনে রয়েছে ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েত। বামফ্রন্ট শাসিত মহকুমা পরিষদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে জোরদার প্রচার চলছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেঙ্গু রোধে মহকুমা পরিষদ ব্যর্থ হয়েছে। তাছাড়া তারা গ্রামীণ এলাকায় রাস্তা, নিকাশি নালা, পানীয় জলের সুব্যবস্থা করতে পারেনি। গ্রামীণ এলাকার নিয়মিত জঞ্জাল সাফাই করা হচ্ছে না। গ্রামীণ এলাকাগুলি দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলিও সংস্কার করা হচ্ছে না। গ্রামবাসীদের কাছে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধাও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে না। এসবের প্রতিবাদেই ওই ধর্না কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রায় কয়েক হাজার ব্যানার, হোর্ডিং, ফ্লেক্স তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেগুলি প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লকের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ঝোলানো হয়েছে। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের সংগঠিত করতে পথসভা, মিছিল চলছে।
মহকুমা পরিষদের বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের কাজলবাবু বলেন, ওই ধর্না কর্মসূচি নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে প্রচুর মানুষ ওই কর্মসূচিতে শামিল হতে চাইছেন। কাজেই ওই দিনের কর্মসূচিতে বিশাল সংখ্যক মানুষ যোগ করবেন বলেই আশা করছি।
বছরের অন্যান্য সময় নির্বিকার থাকলেও হঠাৎ করে তৃণমূল মহকুমা পরিষদের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন উঠেছে। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, ২০১৫ সালে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচন হয়। নিয়ম অনুসারে আগামী বছর ফের মহকুমা পরিষদের নির্বাচন হবে। সেদিকে তাকিয়েই তৃণমূল ওই কর্মসূচি নিয়েছে। মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি সিপিএমের তাপস সরকার বলেন, ডেঙ্গু দমনে স্বাস্থ্যদপ্তরের পরামর্শ মেনে আমাদের যা করার তাই করছি। রাজ্য সরকার অসহযোগিতা করলেও গ্রামীণ এলাকায় উন্নায়নমূলক কাজ করা হচ্ছে। এসব বিষয় গ্রামবাসীরা জানেন। তাই ওদের আন্দোলন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না।