কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মজিরুল হোসেন বলেন, আমরা বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়ে মিটিং করি। পরে সেখানে দলের পতাকা তুলে আসি। কিন্তু বিজেপির লোকজন তা পরে খুলে দেয়। ওরা গণ্ডগোল পাকাচ্ছে। এদিন ওরা সকালে মুখে কালো কাপড় বেঁধে সশস্ত্র অবস্থায় এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। সকালে আমাদের কর্মী হিমাংশু দাসের বাড়িতে হামলা করে। আমরা সমস্ত ঘটনা পুলিসকে জানিয়েছি।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির কোচবিহার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বর্মন বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে নয়ারহাট এলাকায় অরাজকতা তৈরির চেষ্ট করছে তৃণমূল। এলাকায় এলাকায় ঢুকে বোমাবাজি করছে। আমাদের কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছে। আমাদের কেউ তৃণমূলের লোকজনের বাড়িতে হামলা করেনি। কারও দলীয় অফিসে পতাকা আমাদের কেউ নামায়নি। ওরা নিজেরা এসব করে আমাদের নামে বদনাম করছে।
মাথাভাঙা থানার আইসি প্রদীপ সরকার বলেন, নয়ারহাটে এদিন উত্তেজনা ছিল। পুলিস সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে থাকে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
গত লোকসভা নির্বাচনের পর মাঝেমধ্যেই রাজনৈতিক ইস্যুতে মাথাভাঙা-১ ব্লকের নয়ারহাট উত্তপ্ত হচ্ছে। বিজেপির বিরুদ্ধে পুলিসের গাড়ির উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল। একইভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধেও পুলিসের তিনটি ভ্যানে ব্যাপক ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল। ওই হামলার ঘটনায় দু’জন পুলিসকর্মী মারাত্মক জখম হয়েছিলেন। ঘটনার পর পুলিসের ধরপাকড় শুরু হয়। তাই পরবর্তীতে তৃণমূলের লোকজনকে সেভাবে এলাকায় দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের লোকজন নয়ারহাট বাজারের দলীয় কার্যালয়ে মিটিং করে নতুন করে দলীয় পতাকা সেখানে তোলে। অভিযোগ, শুক্রবার সকালে নয়ারহাটের তৃণমূল কর্মী হিমাংশু রায়ের বাড়িতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে কয়েকজন হামলা চালায়। বাড়িতে সেসময়ে কেউ না থাকায় তারা বাইরে টিনের বেড়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে দেয়। ভাঙচুর করা হয় বাড়িতে থাকা মোটর বাইকটিও। তৃণমূলের দাবি, এদিন বাজার এলাকায় বিজেপির লোকজন দিনভর সশস্ত্র অবস্থায় ছিল।