গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
অভিযোগকারী শ্যামল সরকার বলেন, বিধায়ক থাকাকালীন স্ত্রীকে আশা কর্মী হিসেবে নিয়োগপত্র দেওয়ার নাম করে কাটমানি হিসাবে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা নিয়েছিলেন সুশীলচন্দ্র রায়। কিন্তু শেষপর্যন্ত আমার স্ত্রী কোনও নিয়োগপত্র পাননি। পরবর্তী সময়ে তাঁর কাছে টাকার জন্য দরবার করি। কিন্তু সেই টাকা তিনি আর ফেরত দেননি। উল্টে তিনি আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। বিষয়টি ‘দিদিকে বলো’তে জানিয়েছি। থানাতেও অভিযোগ করেছি।
গাজোল বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক সুশীলচন্দ্র রায় বলেন, যে ব্যক্তি অভিযোগ এনেছেন, তাঁকে আমি চিনি না। হঠাৎ করে থানার বড়বাবুর কাছ থেকে শুনছি এক ব্যক্তি আমার নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এধরনের অভিযোগের পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। দলেরই নেতারা আমার ইমেজ নষ্ট করার চক্রান্ত করছেন।
এবিষয়ে গাজোল ব্লকের বর্তমান বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের দিপালী বিশ্বাস বলেন, টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এতটুকু বলতে পারি আইন আইনের পথে চলবে। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।
জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত শর্মা বলেন, এধরণের অভিযোগের কথা শুনেছি। পুলিস বিষয়টি দেখছে। এমন অভিযোগ তো অনেক ওঠে, সত্য কিনা, তা পুলিস তদন্ত করে দেখুক।
মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, গাজোল থানায় এলাকার প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিস বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
গাজোল ব্লকের রানিগঞ্জ-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের আরাজি জলসার বাসিন্দা শ্যামল সরকার তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। তাঁর স্ত্রী দুর্গা সরকার যাতে আশা কর্মীর চাকরি পান সেজন্য তিনি তৎকালীন বিধায়ক সুশীলবাবুর কাছে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সুযোগে প্রভাব খাটিয়ে প্রাক্তন বিধায়ক সুশীলবাবু তাঁর কাছ থেকে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে নিয়ে নেন। পরবর্তীতে চলতি বছর জানুয়ারি মাসে এলাকায় আশা কর্মী নিয়োগ হয়ে যায়। কিন্তু শ্যামলবাবুর স্ত্রীর চাকরি হয়নি। এনিয়ে শ্যামলবাবু স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের জানিয়েও কোনও সুরাহা করতে পারেননি। পরবর্তীতে থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিস সেই অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বলে শ্যামলবাবুর দাবি। পরে ‘দিদিকে বলোয়’ ফোন করে তিনি অভিযোগ নথিভুক্ত করেন। তারপরে গাজোল থানা তার অভিযোগ নেয় বলে দাবি করেন তৃণমূলের ওই কর্মী।
কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন সুশীলবাবু। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে বাম প্রার্থী দীপালি বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হন তিনি। পরে আবার দীপালি দেবীও তৃণমূলে যোগ দেন। আগামী সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহ সফরে আসছেন। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, এতদিন ধরে ওই কর্মী অভিযোগ প্রকাশ্যে আনেননি। যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহ সফরে আসছেন, তার প্রাক্কালে এই অভিযোগ তোলাটা রীতিমতো রাজনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ।