উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
এদিকে হিমঘরে গ্যাস লিক হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই আলিপুরদুয়ার থেকে পুলিস ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা অসুস্থদের উদ্ধার করতে পররপাড়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দারাও অসুস্থদের উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। আলিপুরদুয়ার থেকে দমকলের দু’টি ইঞ্জিনও ঘটনাস্থলে যায়। পরে দমকলের কর্মীরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। অ্যামোনিয়া গ্যাসের প্রকোপে অসুস্থদের উদ্ধার করে প্রথমে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অ্যামোনিয়া গ্যাসের তীব্র ঝাঁঝে কয়েকজনের মুখ, গাল ও কপালের চামড়া উঠে গিয়েছে রক্তাক্ত হয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছয় জনকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। এরমধ্যে জখম হিমঘরের দুই মহিলা শ্রমিক মৌলা বেগম ও মাধুরী বেওয়ার শারীরিক অবস্থা খুবই সংকটজনক।
জেলা হাসপাতালের সুপার চিন্ময় বর্মন বলেন, অসুস্থদের মধ্যে ছয় জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। বাকি তিন জনকে জেলা হাসপাতালের আইসিইউ’তে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। আলিপুরদুয়ার জেলার পুলিস সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি বেসরকারি ওই হিমঘরে অ্যামোনিয়া গ্যাসের একটি ভাল্ব লিক করেই এই দুর্ঘটনা হয়েছে। অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক হওয়ার সময় ঘটনাস্থলে যারা উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিকভাবে তাদের শরীরের চামড়া ঝলসে গিয়েছে। তবুও এই দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানতে ঘটনার তদন্ত হবে।
আলিপুরদুয়ার দমকল বিভাগের ওসি প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক করেই ওই হিমঘরে এদিন এই দুর্ঘটনা হয়েছে। দ্রুত হিমঘর ও আশাপাশের লোকজনকে সরিয়ে দিয়ে জল ঢেলে ছড়িয়ে পড়া ওই গ্যাস নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ভবিষ্যতে ওই হিমঘর কর্তৃপক্ষকে আরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
জেলা সদর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে আলিপুরদুয়ার-সোনাপুর রাজ্য সড়কের বাঁ পাশেই রয়েছে ওই বেসরকারি হিমঘরটি। বছরখানেক আগে হিমঘরটি চালু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে হিমঘরটিতে শ্রমিকরা আলুর বস্তা বের করার কাজ করছিলেন। হিমঘরের এক শ্রমিক সোমনাথ প্রামানিক বলেন, তখন দুপুর ১টা ২০ মিনিট। হঠাৎই হিমঘরের মেশিনঘরে প্রথমে মেঘের মতো গুড়গুড় ও পরে একটি বিকট শব্দ হয়। কোনও কিছু বোঝার আগেই দেখি গোটা হিমঘর ধোঁয়ায় ঢেকে গেল। চারদিকে উৎকট ঝাঁঝালো গন্ধ ছড়িয়ে পড়ল। পরে বুঝতে পারি হিমঘরের মেশিনঘরে থাকা অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক করে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। হিমঘরের পাশের বাসিন্দা গৃহবধূ আজোবালা বর্মন বলেন, সেসময় আমি রান্নাঘরে ছিলাম। হঠাৎই বিকট শব্দ শুনতে পেলাম। তারপরেই নাকে ঝাঁঝালো গন্ধ লাগল। ওই বেসরকারি হিমঘরের এক কর্তা মনোজ দে বলেন, অ্যামোনিয়া গ্যাসের ভাল্ব লিক করেই এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা জখমদের প্রত্যেকের চিকিৎসার ব্যয়ভার নিচ্ছি।