কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
ইসলামপুর থানার আইসি শমীক চট্টোপাধ্যায় বলেন, লরির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সমস্ত ঘটনা শোনা হয়েছে। সিসিটিভি’র ফুটেজ দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
লরির চালক তথা মালিক নীলমণি দেব বলেন, টুঙ্গিদিঘি থেকে রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ ইসলামপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড পার করে সামান্য দূরে লরি দাঁড় করিয়ে চাকার হাওয়া চেক করছিলাম। এমন সময় সামনের দিক থেকে একটি ৪০৭ গাড়ি আসে। গাড়িটি আমার কাছে দাঁড়ায়। সেখান থেকে সঙ্গে সঙ্গে পাঁচ-ছয় জন নেমে আসে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা আমাকে মারধর করে এবং আমার হাত, পা, মুখ বেঁধে তাদের গাড়িতে তুলে নেয়। একজন আমার গাড়িটি ব্যাক করিয়ে কিষাণগঞ্জের দিকে রওনা দেয়। ফাঁকা জায়গা দেখে রাস্তার পাশে আমাকে ওরা ফেলে দেয়। ট্রাকে টুঙ্গিদিঘির এক ব্যবসায়ীর চাল লোড ছিল। চাল নিয়ে শিলিগুড়ি যাচ্ছিলাম।
ওই চাল ব্যবসায়ী বলেন, টুঙ্গিদিঘি থেকে লরিতে আমার ১৪ টন ৩ কুইন্টাইল চাল লোড হয়। শিলিগুড়িতে গাড়ি খালি হওয়ার কথা ছিল। ওই চালের বাজার মূল্য চার লক্ষ টাকারও বেশি। করণদিঘির ট্রাক মালিকদের সংগঠন করণদিঘি ব্লক মোটর ভেহিক্যাল ওনার্স ওয়েলফেয়ারের সভাপতি কৌশিক রায় বলেন, ট্রাক ছিনতাই কিংবা পণ্য লুট করতে এমন ঘটনা ঘটে। রাতে জাতীয় সড়কে পুলিসের পেট্রোলিং আরও বাড়ানো উচিত। পর পর কয়েকটি ঘটনা ঘটে গেল।
এদিকে গভীর রাতে শহরের মধ্য থেকে লরি ছিনতাইয়ের ঘটনায় শহরের বাসিন্দারাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেন, সম্প্রতি মহকুমার পাঁচটি থানা নিয়ে ইসলামপুর পুলিস জেলা হয়েছে। কিন্তু রাতে জাতীয় সড়কে পুলিসের টহলদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জাতীয় সড়কে রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গাঁজা, মদ পাচার হচ্ছে। সেই সঙ্গে লরি ছিনতাই, সামগ্রী লুট হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে পুলিসের জালে দুষ্কৃতীরা ধরা পড়লেও পুলিসের আরও তৎপর হওয়া উচিত। সম্প্রতি ইসলামপুর থানার ধনতলা এলাকার জাতীয় সড়ক থেকে কয়েকশো মিটার দূরে আফজলচক এলাকায় গ্রামের রাস্তার পাশের একটি খালি লরি উদ্ধার করে পুলিস। পরে ওই এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫০০ প্যাকেট চা পাতা উদ্ধার করে। লরিটি চা পাতার প্যাকেট নিয়ে অসম থেকে কলকাতা যাচ্ছিল। এই ঘটনায় পুলিস কয়েক জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। স্থানীয়দের দাবি, রাতে জাতীয় সড়কে পুলিস টহলদারি বাড়ানো দরকার। শহরের মধ্যে থেকে দুষ্কৃতীরা আস্ত লরি হাইজ্যক করতে পারলে বসতিহীন ফাঁকা সড়কে কী হবে? রাতবিরেতে কোথাও যাতায়াত আর নিরাপদ নয়। পুলিস কিছু করুক। পুলিস জানিয়েছে, জাতীয় সড়কে সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হচ্ছে।