পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তিনি বলেন, জলপাইগুড়ির একাধিক চা বাগান মালিকপক্ষ শ্রমিকদের নায্য পাওনা পিএফ জমা করছে না। পিএফ কমিশনারের কাছে আমি জানতে চেয়েছি কোন কোন চা বাগান এখনও পিএফ জমা করেনি। তথ্য পেয়ে গেলেই আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিষয়টি জানাব। যেসমস্ত মালিকরা বকেয়া পিএফ জমা করেনি তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করব। জলপাইগুড়ির সংসদ সদস্য বিজেপি’র জয়ন্ত রায় বলেন, চা শ্রমিকদের অনেক সমস্যা রয়েছে। পিএফ সমস্যা নিয়ে এদিন বৈঠক করা হয়েছে। সেখানে নানা রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তগুলি অনুয়ায়ী আমরা অগ্রসর হব যাতে শ্রমিকদের পিএফ সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়।
জলপাইগুড়ির পিএফ কমিশনার বি লাল জামাং বলেন, চা শ্রমিকদের পিএফ সমস্যা নিয়ে এদিন বৈঠক করা হয়েছে। মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ সবাইকে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু মালিকপক্ষের কেউ আসেনি। পিএফ সংক্রান্ত বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত শ্রম কমিশনার চন্দন দাশগুপ্ত বলেন, পিএফ সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের কেউ কোনও অভিযোগ জানায়নি। অভিযোগ জানালে পিএফ অফিসে পাঠিয়ে দেব। ইন্ডিয়ান টি প্লান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের মুখ্য উপদেষ্টা অমৃতাংশু চট্টোপাধ্যায় বলেন, নিয়মানুয়ায়ী সমস্ত চা শ্রমিকের পিএফ জমা করার জন্য বাগান মালিকদের কাছে আমরা আবেদন করেছি। যারা এখনও জমা করতে পারেনি তাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করা দরকার।
ডুয়ার্সের চা শ্রমিকদের পিএফ সমস্যা নিয়ে এদিন বৈঠক হয়। পিএফ অ্যাকাউন্টে আধার লিঙ্ক না থাকার জন্য অনেকেই অবসরের পরে টাকা পাচ্ছেন না। টাকা না পাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের। সেই সমস্যা মেটাতে এদিনের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। তবে ডুয়ার্সের চা বাগানের একাধিক মালিক চা শ্রমিকদের নায্য পাওনা জমা করেননি। আলিপুরদুয়ারের সাংসদের দাবি, ১০০ কোটি টাকার উপরে পিএফ জমা পড়েনি। চার-পাঁচ বছর থেকে একাধিক চা বাগান পিএফ জমা করছে না। মালিকরা পিএফের টাকা কেটে নিয়ে জমা না করার জন্য শ্রমিকদের সমস্যা হচ্ছে। অবসরপ্রাপ্ত চা শ্রমিকরা প্রতিদিনই সাংসদকে এবিষয়ে অভিযোগ জানাচ্ছেন।