গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বইমেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, মালদহ কলেজ কর্তৃপক্ষ গত বছরের মত এবছরও বিভিন্ন অসুবিধার কথা তুলে ধরে বইমেলার জন্য তাঁদের মাঠ ব্যবহার করতে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আমরাও আর ওনাদের অনুরোধ করতে চাই না। সব রকম অসুবিধা সত্ত্বেও সদর ঘাট এলাকার শিবতলার মাঠেই গত বারের বইমেলা সফলভাবেই করা সম্ভব হয়েছিল। এবার আগের বইমেলার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা আরও সুষ্ঠুভাবে একই জায়গায় বইমেলা করতে পারব বলে আত্মবিশ্বাসী। আমরা চাই এই শিবতলার মাঠেই স্থায়ী বইমেলা প্রাঙ্গণ গড়ে তোলা হোক।
উল্লেখ্য, মালদহ টাউন হল সংলগ্ন এলাকায় ছোট পরিসরে শুরু হওয়া বইমেলা বর্তমানে অলিখিতভাবে রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম বইমেলা বলেই পরিচিত। টাউন হলের পরে বৃন্দাবনী ময়দান ও পরে মালদহ কলেজ ময়দানে প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বইমেলা হয়ে এসেছে।
মালদহ কলেজের প্ল্যাটিনাম জুবিলির কারণ দেখিয়ে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে মালদহ বইমেলা স্থানান্তরিত হয় মহানন্দা নদী সংলগ্ন শিবতলার মাঠে। এবারেও এখানেই বইমেলা হবে।
অম্লানবাবু বলেন, এবার ৩১ বছরে পা দিতে চলেছে মালদহ বইমেলা। ১৪০টিরও বেশি স্টল থাকবে। বইয়ের পাশাপাশি কিছু অন্যান্য স্টলও থাকবে প্রতি বছরের মতই। রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা ছাড়াও বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি পুস্তক প্রকাশনা সংস্থাও এবারের বইমেলায় অংশ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন বইমেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক।
মালদহ বইমেলার স্নানান্তরকরণ নিয়ে জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, মালদহ কলেজ কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি কারণ দেখিয়েছিল। বিকল্প মাঠের প্রস্তাবও ছিল। তবে উদ্যোক্তারা চেয়েছে, আগের বার যেখানে বইমেলা হয়েছে, ওইখানেই এবারও বইমেলা করতে। সেই প্রস্তাবই গৃহীত হয়েছে।
উল্লেখ্য, মালদহ বইমেলায় প্রায় ১ কোটি টাকার উপর ব্যবসা হয় বলে বরাবরই দাবি করেছেন উদ্যোক্তারা। তাঁদের বক্তব্য, আগের বার স্থান পরিবর্তন হলেও সেই ব্যবসায় ভাঁটা পড়েনি। এবারও ব্যবসার পরিমাণ আগের মতোই থাকবে বলেও আশাবাদী তাঁরা।
বইয়ের দোকানের পাশাপাশি বইমেলায় থাকে বেশ কিছু সাংস্কৃতিক মঞ্চও। এবারও আগের মতোই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে বইমেলা চত্বরে।
তবে উদ্বোধনে কে আসছেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে বইমেলা উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত ও জনপ্রিয় কোনও সাহিত্যিককেই এবার বইমেলার উদ্বোধনে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।