কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, আমরা নভেম্বর মাস থেকেই কোচবিহার পুরসভা দখলের লক্ষ্যে তেড়েফুড়ে নামবো। শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডেই আমাদের ওয়ার্ড কমিটি রয়েছে। আমরা ওই ওয়ার্ডগুলিতে থাকা সব বুথ কমিটি তৈরির কাজ নভেম্বর মাসের মধ্যেই শেষ করে ফেলবো। পুর এলাকায় বিভিন্ন পরিষেবাগত খামতি রয়েছে। সেসব খামতিকে আমরা আমাদের প্রচারে তুলে ধরবো। কিভাবে কোচবিহার পুরসভা নির্বাচনে লড়াই করা হবে, সাংগঠনিক কাজ কিভাবে করা হবে তা নিয়ে আমরা এ মাসের শেষেই বৈঠকে বসবো।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, পুর এলাকার সংগঠনকে সাজানোর জন্য তারা চার সদস্যের বিশেষ কমিটি গঠন করেছে। ওই বিশেষ কমিটির অধীনে আরও কমিটি তৈরি করা হবে। এরপরেই একেকটি ওয়ার্ডের একেকটি নির্দিষ্ট সমস্যাকে তুলে ধরে সেইভাবে কাজ করা হবে। কোচবিহার পুর এলাকার ২০টি ওয়ার্ডে যে বুথগুলি রয়েছে, সেই বুথ কমিটিগুলির মধ্যে ৫০ শতাংশ কমিটি তারা ইতিমধ্যেই গঠন করে ফেলেছে। বাকি ৫০ শতাংশ বুথ কমিটিও দ্রুত তৈরি করে কোচবিহার পুরসভা দখলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে।
গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার কেন্দ্রে বিজেপি বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিল। কোচবিহার জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটিতে পদ্মফুল ফোটার পর থেকেই বিজেপি এই জেলায় তাদের সংগঠন আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে উঠেপড়ে লেগেছে। বিজেপির দাবি, গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার শহরের ২০টি ওয়ার্ডেই তাদের লিড ছিল। সেই লিডকে তারা আগামী পুরসভা নির্বাচনেও ধরে রাখতে চাইছে।
এদিকে, লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেসের ভরাডুবি হওয়ার পরেই দলের তৎকালীন জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল রাজ্য নেতৃত্ব। তাঁর জায়গায় জেলা সভাপতি করা হয় বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে। তারপরেও নানা ঘটনায় জেলাজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে গোষ্ঠীকোন্দল বারবার প্রকাশ্যে আসতে থাকে। সেই সমস্যা এখনও রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই শাসক দলের এই অর্ন্তদ্বন্দ্বকে পুরসভা নির্বাচনেও কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। পাশাপাশি কোচবিহারে পুর এলাকায় পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যা নিয়ে বহু মানুষের মনে ক্ষোভ রয়েছে। এখনও সমস্ত ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সরবরাহ সুষ্ঠুভাবে হয় না। অনেক এলাকাতেই নিকাশি ব্যবস্থা খারাপ। বর্ষায় শহরে জলবদ্ধতার সমস্যা দেখা দেয়। শহরের বহু ওয়ার্ডের ভিতরের অংশের রাস্তা বেহাল। বিজেপির দাবি, তারা এই সমস্ত সমস্যাকে প্রচারে তুলে ধরতে চাইছে।