গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এবিষয়ে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লক্ষ্মীরাম হাঁসদা বলেন, এদিন দুপুরে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে পঞ্চায়েতে গিয়েছিলাম। তৃণমূলে এসে যে সম্মান পেয়েছি তা বিজেপিতে মেলেনি। এলাকার মানুষ উন্নয়ন চাইছিলেন, তাতে বিজেপির স্থানীয় নেতারা বাধা দিচ্ছিলেন। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এলাকার উন্নয়ন থমকে গিয়েছিল। আশা করছি এবার উন্নয়নের জোয়ার বইবে। এদিন পঞ্চায়েতের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছি। আগামী দিন থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
পুরাতন মালদহ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনার জহর ঘোষ বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের প্রায় দেড় বছর পর এদিন ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের পতাকা উড়েছে। আমাদের কাছে খুবই আনন্দের দিন। এদিন প্রধান সহ আটজন তৃণমূলের সদস্য পঞ্চায়েত দপ্তরের পা রেখেছেন। আশা করছি, এবার থেকে পঞ্চায়েত এলাকায় ঢালাও উন্নয়ন হবে। ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা সুন্দর রাজবংশী বলেন, এদিন আমরা মাদল বাজিয়ে দলীয় প্রধানকে স্বাগত জানিয়েছি। সঙ্গে সবুজ আবির খেলাও হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পুরাতন মালদহ ব্লকের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে ছিল। গত পঞ্চায়েত ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের নিয়ে বিজেপির বোর্ডের প্রধান হন লক্ষ্মীরাম হাঁসদা। বুধবার তিনি এবং আরও কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করায় পঞ্চায়েত বিজেপির হাতছাড়া হয়ে যায়। এদিন দুপুরে বিডি ও অফিসে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার পর পঞ্চায়েত অফিসে যান নতুন-পুরনো মিলিয়ে প্রধান সহ তৃণমূলের আটজন সদস্য। পঞ্চায়েতে পালাবদলের পর আগামীদিনের ঢালাও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দেওয়া প্রধান।