বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তিনি এদিন কটাক্ষ করে বলেন, কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি অথবা কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে নোটাতে ভোট দেওয়া। তাঁর ব্যাখ্যা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সরকার রয়েছে। এখানে বিরোধী একজনকে উপনির্বাচনে জিতিয়ে কালিয়াগঞ্জের মানুষের কোনও লাভ হবে না। কালিয়াগঞ্জের বাস্তব উন্নয়ন করতে হলে শাসকদলের প্রার্থী তপন দেব সিংহকে জেতাতে হবে। এটাই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝাতে হবে। মানুষ বিচার করবে। দেখবেন কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে দলের ফল ভালো হবে।
কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল এদিন কর্মিসভার ডাক দিলেও তা রীতিমতো জনসভার চেহারা নিয়েছিল। প্রায় ৫০০০ কর্মীর উপস্থিতিতে কালিয়াগঞ্জে বিধানসভা উপনির্বাচনে দলের নেতৃত্ব মূলত কর্মীদের উদ্দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, এনআরসির প্রসঙ্গ, বেকারি সহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে ঝড় তোলার পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি দলের কর্মীদের বেশি কথা না বলে, সংযত হয়ে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের প্রচারে গুরুত্ব দিতে বলেছে। শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জে বামেরা বিজেপির ‘বি’ টিম ও কংগ্রেস ‘সি’ টিম হয়ে কাজ করেছে। ফলে কালিয়াগঞ্জে আমরা ৫৭ হাজার ভোটে লোকসভা ভোটে পিছিয়ে থাকলেও এবারের উপনির্বাচনে মানুষ কংগ্রেস বিজেপিকে ভোট দেবেন না। লোকসভা নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জে বিজেপি ভালো ভোট পেলেও এনআরসির আতঙ্কে এখানকার মানুষ ভূগছেন। ফলে যারা লোকসভায় বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন, উপনির্বাচনে তাঁরা বিজেপিকে ভোট দেবেন না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আমাদের পাহারাদার হিসাবে আছেন। তিনি সাফ বলে দিয়েছেন, বাংলায় নো এনআরসি। এনআরসিকে আমাদের রুখতে হবে। শুভেন্দু অধিকারী দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, মানুষকে বোঝান, শাসকদলের এমএলএ যদি হয়, তবে কালিয়াগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। কেন্দ্রীয় সরকার রেলকে বেসরকারিকরণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। পেঁয়াজের দাম বেড়ে ৮০ টাকা কেজি হয়েছে। এখান থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। শুভেন্দুর প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গত ছ মাসে কী করলেন? কেন্দ্রের রেল বাজেট হয়েছে। রায়গঞ্জ কী পেয়েছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময় উত্তর দিনাজপুরের রেল মানচিত্রের জন্য কতগুলি প্রজেক্ট নিয়েছিলেন। ওরা রেলে জেলার জন্য একটা প্রজেক্ট দিতে পারেনি।
এদিনের কর্মিসভায় কোচবিহারের সংসদ সদস্য পার্থপ্রতিম রায় বলেন, রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য রাজ্য সরকার যে সকল উদ্যোগ নিয়েছে, অতীতে তা কোনওদিন হয়নি। রাজবংশী ভাষায় বক্তব্য দিয়ে পার্থপ্রতিম রায় বলেন, এনআরসি হলে এখানকার ভূমিপুত্ররাও ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবেন। কারণ অনেক স্থানীয় মানুষের পুরনো নথিপত্র নেই। অসমে স্থানীয়দের ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে। এদিনের কর্মিসভায় দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল, প্রার্থী তপন দেব সিংহ, প্রাক্তন জেলা সভাপতি অমল আচার্য প্রমুখ নেতৃত্ব বক্তব্য রাখেন।