কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পূর্তদপ্তরের নির্বাহী বাস্তুকার অংশুমান চট্টরাজ বলেন, আমরা মালদহ উড়ালপুলের স্বাস্থ্য কেমন রয়েছে তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছি। যত দ্রুত সম্ভব এই কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি ফ্লাইওভারের সংস্কারের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। মেরামতির পরে নতুন করে রং করা হবে ফ্লাইওভারটি।
উল্লেখ্য, নব্বই দশকের গোড়ায় এই উড়ালপুলটি তৈরি হয়েছিল পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে। তৎকালীন পূর্তমন্ত্রী মতীশ রায় এই ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেছিলেন। এই উড়ালপুলের দৈর্ঘ্য এক কিলোমিটারের কিছুটা বেশি বলে জানিয়েছেন পূর্তদপ্তরের এক জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার।
এই ফ্লাইওভার তৈরি হওয়ার আগে রথবাড়ি রেল গেট পার হয়ে যেতে হত শহরের পশ্চিমাংশের এলাকাগুলিতে। তখন যানবাহনের সংখ্যা অনেকটাই কম থাকলেও রেলগেট মাঝে মাঝেই বন্ধ থাকায় শহরের পূর্ব প্রান্ত থেকে পশ্চিম প্রান্তে যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম সমস্যায় পড়তে হত নাগরিকদের। রেল লাইনের অপর দিকে রয়েছে মালদহের বিমানঘাঁটিও। আকাশ পথে মালদহে এসে সেখানে নেমে শহরের মূল কেন্দ্রে আসতে গেলে রেল গেটের কারণে সমস্যায় পড়তে হত ভিভিআইপিদেরও। তখনই সকলের সমস্যার কথা বিবেচনা করে একটি ফ্লাইওভার তৈরির পরিকল্পনা শুরু হয়।
রেলের জমির উপর দিয়ে এই ফ্লাইওভার তৈরির ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা প্রাথমিকভাবে ছিল। সেই বাধা কাটাতে হস্তক্ষেপ করেন মালদহের তৎকালীন সাংসদ তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী গনিখান চৌধুরী। সব পক্ষের সাহায্য ও হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত তৈরি হয় মালদহ শহরের প্রথম উড়ালপুল। কিন্তু সময়ের নিয়মেই প্রায় বছর ৩০ আগে তৈরি হওয়া এই উড়ালপুলটির স্বাস্থ্য ক্ষয় হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই নতুন করে এর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সংস্কারের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
পূর্তদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ফ্লাইওভারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ঢালাও সংস্কারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় এক কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। আইটিআই মোড়ের দিক থেকে এই সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত গতিতে চলাচল করা কোনও যানবাহন যেন কোনওভাবেই এই ফ্লাইওভারের রেলিং ভেঙে নিচে পড়ে না যায় সেই জন্য ‘ক্র্যাব গার্ড’ বসানো হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।
পূর্তদপ্তরের এক বিশেষজ্ঞ বলেন, এই ফ্লাইওভারের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ হবে তিন দফায়। প্রথম দফার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। একটি বেসরকারি সংস্থার প্রযুক্তিবিদরাও ফ্লাইওভারটি নানা ভাবে পরীক্ষার কাজ শুরু করেছেন।
তবে ফ্লাইওভারের বর্তমান বহন ক্ষমতা পরীক্ষা করতে এটির পিলার ও নিচের অংশের বর্তমান অবস্থার ব্যাপক পরীক্ষা করা প্রয়োজন বলে পূর্তদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই ফ্লাইওভারের নিচে তৈরি হয়ে গিয়েছে অসংখ্য দোকান। ফলে নিচের অংশের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসন ও পুরসভার কাছে পূর্তদপ্তর লিখিতভাবে অনুরোধ জানাবে বলেও জানা গিয়েছে।
এব্যাপারে জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, পূর্তদপ্তরের চিঠি পেলে বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে। প্রয়োজনীয় সাহায্যও করা হবে।