বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দীর্ঘ টালবাহানার পর গত সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের (সিআইসি) বৈঠক। তৃণমূল পরিচালিত ওই পুরসভায় এবার বোর্ড মিটিং ডাকার ব্যাপারে চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষের উপর চাপ বাড়াচ্ছেন কাউন্সিলাররা। বিরোধীদের পাশাপাশি তৃণমূল কাউন্সিলাররাও দ্রুত বোর্ড মিটিংয়ের পক্ষপাতী। নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা জানাতে তাঁরা উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন। এব্যাপারে তাঁদের ব্যাখ্যা, বছর গড়ালেই পুরভোটের দামামা বেজে যাবে। এবারে নির্বাচনে ক্ষয়িষ্ণু বাম-কংগ্রেস প্রধান প্রতিপক্ষ থাকবে না। শক্তিশালী বিজেপির মুখোমুখি হতে হবে ঘাসফুল শিবিরের কাউন্সিলারদের। ফলে এখনই এলাকার সমস্যা পুর কর্তৃপক্ষের নজরে এনে ড্যামেজ কন্ট্রোল না করা গেলে কার্যত বসে বসে গোল খেতে হবে। আগাম কাজ না করতে পারলে নির্বাচনী প্রচারে গালভরা প্রতিশ্রুতি কোনও কাজে আসবে না বলেও তাঁরা মনে করেন। এদিকে, দল বিষয়টি নিয়ে তৎপর না হলে নির্বাচনের আগে পুরসভার পাশা উল্টে দেওয়ার জন্য কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলার ঘুঁটি সাজাচ্ছেন বলে শাসকদল সূত্রে খবর। তাঁরা নির্বাচনের আগে হয় বিজেপিতে যোগ দেবেন অথবা দলে থেকেও বিজেপিকেই মদত দেবেন বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন।
পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলার নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি বলেন, আমি সিআইসি’র সদস্য না হওয়ায় সোমবারের বৈঠকে থাকতে পারিনি। এদিকে দীর্ঘদিন বোর্ড মিটিং না হওয়ায় ওয়ার্ডের ভালো-মন্দ নিয়ে চেয়ারম্যান সহ সিআইসি সদস্যদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে আলোচনা করারও সুযোগ পাইনি। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। দল অবিলম্বে এব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ না নিলে আমাকেও অন্যদিক নিয়ে ভাবতে হবে। আমার সামনে সব দরজাই খোলা আছে।
যদিও ‘সব দরজা খোলা’ মানে দল বদল কিনা, তা নরেন্দ্রনাথবাবু খোলসা করেননি। এক তৃণমূল কাউন্সিলার বলেন, পুজোর আগে আসা অনাস্থার পিছনে অনিয়মিত বোর্ড মিটিংও অন্যতম কারণ ছিল। তারপরেও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। এর ফল দলকে ভুগতে হবে। কাউন্সিলারদের একাংশের মুখ বন্ধ করা গেলেও শহরের অব্যবস্থা নিয়ে বাসিন্দাদের অসন্তোষ ধামাচাপা দেওয়া যাবে না।
চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, দ্রুত বোর্ড মিটিং ডাকার উদ্যোগ নেব। আশা করছি কারও কোনও সমস্যা হবে না।
এদিকে, পুরাতন মালদহ শহরে পুজোর পর থেকেই বোর্ড অফ কাউন্সিলর মিটিং (বিওসি) হয়নি। যে কারণে এলাকার উন্নয়নে বেশ কিছু পরিকল্পনা এখনও থমকে রয়েছে। পুর নির্বাচনের আগে বোর্ড অফ কাউন্সিলের মিটিং সময়মতো না হলে পুর উন্নয়ন একেবারে থমকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, অক্টোবরের প্রথমেই বোর্ড অফ কাউন্সিলের মিটিং হয়। এবিষয়ে পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের কার্তিক ঘোষ বলেন,পুজোর আগে আমরা শেষ বোর্ড অফ কাউন্সিলের মিটিং ডেকেছিলাম । তবে পুর ভোটের আগে এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা বিওসি মিটিং ডাকব।
এবিষয়ে পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলার পরিতোষ ঘোষ বলেন, বোর্ড অফ কাউন্সিলের মিটিং এলাকার উন্নয়নে জরুরী। আমাদের অনেক কিছুই বলার রয়েছে। বোর্ড মিটিংয়ে আমরা সেগুলি নিয়ে আলোচনা করব।