বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গ্রামের প্রায় ৩০টি পরিবার বাঁশের তৈরি হস্তশিল্পের মাধ্যমে রোজগার করে থাকেন। তাঁরা বংশপরম্পরায় একাজ করে চলেছেন। বাঁশের উপর নানা ডিজাইন করে গৃহসজ্জার বিভিন্ন শো-পিস তৈরি করেন তাঁরা। রাজ্যের দেশীয় বাঁশ ও অসমের কারিয়া বাঁশ দিয়ে টেবিল ল্যাম্প, ল্যাম্প স্ট্যান্ড, ফুলদানি, মুখাবয়ব সহ ঘর সাজানোর জন্য নানা শো-পিস করছেন। তাঁদের তৈরি মেয়েদের বাঁশের অলঙ্কারও সমাদর কুড়িয়েছে। তাঁরা শুধু বাঁশের তৈরি হস্তশিল্পের উপর থেমে থাকেননি আজকাল তাঁরা তালগাছের কাণ্ড, গুঁড়ি দিয়ে নানা ধরনের ডাইনিং টেবিল, চেয়ার-টেবিল সেট তৈরি করছেন।
তাঁরা এতদিন সেভাবে প্রচারের আলোয় আসেননি। মেলেনি কোনও সরকারি সাহায্য বা প্রশিক্ষণ। পাশের গ্রাম মহিষবাথানির মুখোশ শিল্পের নাম ছড়িয়ে পড়ায় এবার ঊষাহরণের বাঁশের শিল্পীরা উৎসাহিত হয়ে তাঁদের হস্তশিল্প তুলে ধরতে চাইছেন। রাজ্যের বিভিন্ন মেলায় তাঁরা তাঁদের তৈরি সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছেন। এতে তাঁদের শিল্পের পরিচিতি পাওয়ার পাশাপাশি আয়ও বাড়ছে।
ঊষাহরণ বাঁশ শিল্পী সমবায় সমিতির সম্পাদক গৌতম বৈশ বলেন, আমরা বংশপরম্পরায় বাঁশ দিয়ে ডালি, কুলোর পাশাপাশি গৃহসজ্জার বিভিন্ন শো-পিস তৈরি করি। আমাদের কোনও সরকারি সাহায্য জোটেনি। জেলা শিল্প কেন্দ্রের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা বিভিন্ন শিল্পকলা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন মেলায় যাওয়ার সুযোগ পাই। সেখানে গিয়ে আমাদের পরিচিতি বেড়েছে। বাঁশের উপর ডিজাইন করে এবার দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল সজ্জার বরাত পাই দক্ষিণবঙ্গে। গ্রামের শিল্পীদের সঙ্গে বসে আমরা সমবায় তৈরির সিদ্ধান্ত নিই। সেইমতো সরকারের কাছে আবেদন করি। আমরা আমাদের বাঁশের তৈরি এই হস্তশিল্পকে আধুনিক রূপ দিতে সরকারি প্রশিক্ষণ চাইছি। জেলা শিল্প কেন্দ্র এব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছে।
জেলা শিল্প কেন্দ্রের ম্যানেজার অসীম কুমার চৌধুরী বলেন ঊষাহরণের শিল্পীরা বাঁশ দিয়ে নানা ধরনের গৃহসজ্জার আইটেম তৈরি করেন। অত্যন্ত ভালো কাজ তাঁদের। তাঁরা আমাদের কাছে এসেছিলেন। তাঁরা সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন করেছেন। আমরা উদ্যোগ নিয়ে সেখানকার শিল্পীদের নিয়ে সমবায় তৈরি করে দিয়েছি। তাঁদের তৈরি হস্তশিল্প বিক্রির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। তাঁরা তাঁদের শিল্পের আধুনিকীকরণ ও উন্নতির জন্য সরকারি প্রশিক্ষণ চেয়ে আবেদন করেছেন। আমরা তা রাজ্য দপ্তরের পাঠিয়েছি। রাজ্য থেকে অনুমতি এলেই তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। কুশমণ্ডি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুনন্দা বিশ্বাস বলেন, বাঁশের হস্তশিল্পীরা প্রশিক্ষণের জন্য পঞ্চায়েত সমিতির কাছে ঊষাহরণে ঘর চেয়েছে। ওখানে আমাদের ঘর রয়েছে। প্রশিক্ষণের জন্য তাদের ঘরের ব্যবস্থা করে দিব।