পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মাথাভাঙা থানার পুলিশ জানিয়েছে, ওই ওষুধ ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিঞ্জাসাবাদ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন নেশায় আসক্ত ওই যুবকের মা।
মাথাভাঙা থানা চত্বরে দাঁড়িয়ে এদিন নেশায় আশক্ত ওই যুবকের মা জানান, ঘুমের ওষুধ, স্নায়ু রোগের জন্য ব্যবহার করা ওষুধ নিয়মিত খেত তাঁর সন্তান। সেসব খেয়ে সে অস্বাভাবিক আচরণ করতো। এনিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গেও কথা বলেছেন তাঁরা। যে দোকান থেকে তাঁদের ছেলে এসব ওষুধ কিনতো, তাদের কাছে গিয়ে ওষুধ দিতে বারণ করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই ব্যবসায়ী প্রেসক্রিপসন ছাড়াই সেসব ওষুধ বিক্রি করতেন। ছেলেটি প্রতিদিন কুড়িটি করে ঘুমের ট্যাবলেট খায়। এদিন সকালে ছেলের পিছু নিয়ে সেই দোকান গিয়ে হাতেনাতে দোকানদারকে পাকড়াও করেন তাঁরা। শুধু ওই ছেলেটিই নয়, তার একাধিক বন্ধুও এধরনের ট্যাবলেট মাদক হিসেবে প্রতিদিন ব্যবহার করে। এর আগে কোচবিহার থেকে মাথাভাঙায় এসে এক যুবক তাদের ট্যাবলেটের যোগান দিত।
ওই যুবকের মা আরও জানান, কয়কজন ওষুধ ব্যবসায়ীর এজেন্ট রয়েছে, যারা সন্ধ্যা হলেই শহরের আনাচে কানাচে নানা ঠেকে গিয়ে মাদকাসক্তদের হাতে এসব নিষিদ্ধ ট্যাবলেট তুলে দিয়ে আসে।
মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা এন দাস জানান, ঘুমের ওষুধ কেউ দীর্ঘদিন ব্যাবহার করলে সে এটার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। এটা ছাড়া তার কোনওভাবেই আর ঘুম আসবে না। একই সঙ্গে কেউ দীর্ঘসময় ওভারডোজ খেলে অস্বাভিক আচরণ করতে শুরু করবে। অসুখ ছাড়া স্নায়ু রোগের ওষুধ খেলে আস্তে আস্তে নার্ভ দুবর্ল হয়ে পাগলের মতো আচরণ করতে শুরু করবে। এধরনের ওষুধ প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি করা কখনই উচিত নয়।
কোচবিহার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এসমস্ত ওষুধ বিক্রি করার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। আমরা বারবার ওষুধ ব্যাবসায়ীদের এনিয়ে সর্তক করে থাকি। যে ব্যবসায়ীরা প্রেসক্রিপশন ছাড়া এধরনের ওষুধ বিক্রি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
কোচবিহার ড্রাগিস্ট অ্যান্ড কেমিস্ট অ্যাসোশিয়েসনের জেলা সম্পাদক সৌমেন চক্রবর্তী জানান, মাথাভাঙা শহরের যে ওষুধের দোকানের বিরুদ্ধে এধরণের ওষুধ বিক্রির অভিযোগ উঠছে, তাদের কারও ড্রাগ লাইসেন্স নেই। তারা আমাদের সংগঠনের সদস্যও নয়। তাই এনিয়ে আমাদের কিছুই বলার নেই।