কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এব্যাপারে নিয়তি সরকার জানান, স্কুলে শিক্ষিকা না আসার কথা জেনে এসেছিলাম খোঁজ নিতে। কিন্তু এসে যা দেখলাম তা কোনোওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। গোটা স্কুল চত্বর আগাছা, নোংরা, ধুলোয় ভরে গিয়েছে। এদিন আমি নিজে হাতে কিছুটা জায়গা ঝাঁট দিয়েছি। ছয় মাস ধরে স্কুলে মিড ডে মিলের রান্না বন্ধ। এনিয়ে আমি শিক্ষাদপ্তরের আধিকারিকদের কাছে জবাব চাইব।
মেখলিগঞ্জের বিদ্যালয় পরির্দশক বরুণ বিশ্বাস জানান, ওই স্কুলে দু’জন শিক্ষিকা ও একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী রয়েছেন। একজন শিক্ষিকা সন্তানের অসুস্থার কথা জানিয়ে আমার কাছে ছুটি নিয়েছেন। অপর শিক্ষিকা ডাকযোগে আমাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছুটি নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। দু’জনেই ছুটি নিলে আমার কি করার আছে? আমি চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীকে বলেছি বাচ্চাদের দেখভাল করার জন্য।
চ্যাংরাবান্ধা গার্লস স্কুলের এক শিক্ষিকা সুবর্ণা সরকারকে একাধিকবার ফোন ও মেসেজ করা হলেও কোনও উত্তরই দেননি তিনি।
কোচবিহার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারপার্সন কল্যাণী পোদ্দার জানান, চ্যাংরাবান্ধা গার্লস স্কুলের পরিস্থিতি নিয়ে পরির্দশকের কাছে খোঁজ নেব। কেন দু’জন শিক্ষিকা স্কুলে আসছেন না, তা নিয়ে তাঁদের শোকজ করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৩ সালে চ্যাংরাবান্ধা এশিয়ান হাইওয়ের পাশে চালু হয় ওই গার্লস স্কুলটি। স্কুল প্রতিষ্ঠার সময়ে মাথাভাঙার এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে অতিথি শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি দু’বছরে স্কুলের পরিকাঠামো তৈরী করে ও ছাত্রী নিয়ে এসে ভর্তি করার ব্যবস্থা করেন। তিনি চলে যাওয়ার পর ২০১৫ সাল নাগাদ একজন শিক্ষিকা আসেন স্কুলে। তখন প্রায় ৬৫ জন ছাত্রী ছিল পঞ্চম থেকে অষ্ঠম শ্রেণী অবধি। পরবর্তীতে আরও একজন শিক্ষিকা আসেন। এর পরেই পরিস্থিতি বদলে যেতে শুরু করে। অভিভাবকরা বাধ্য হয়ে ছাত্রীদের অন্যত্র নিয়ে যেতে শুরু করেন। বর্তমানে স্কুলের চারটি ক্লাসে মাত্র দশজন ছাত্রী রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এই দুই শিক্ষিকার জন্য মেয়েদের এই স্কুলটি উঠে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দত্ত জানান, আমরা অনেক আন্দোলন করে গার্লস স্কুলটি চালু করেছিলাম। কিন্তু ওই দু’জন শিক্ষিকার কোনও দায়বদ্ধতা নেই। এনিয়ে শিক্ষা দপ্তরে অনেকবার জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।