পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বুধবার সকালে ওই জমির বর্তমান শরিকরা ৫০ বছর আগে দীপকবাবুর বাবার কাছ থেকে কেনা তাঁদের জমির খতিয়ান ও দাগ নম্বরের রেকর্ডের ফটোকপি বৃদ্ধ দম্পতির হাতে তুলে দেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বৃদ্ধ দম্পতিকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীও।
এদিন সকালে সৌরভবাবু আলিপুরদুয়ার পুরসভার অতিথি নিবাস ‘অবকাশ’ থেকে হুগলির বৃদ্ধ দম্পতিকে শহরের উদয়নবিতানে তাঁর নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। সৌরভবাবু বিধায়ক হিসেবে বৃদ্ধ দম্পতিকে ওই জমির প্রত্যয়িত নকল কপিতে অ্যাটাস্টেডও করে দেন।
হুগলির নবগ্রামের বাসিন্দা ৭৪ বছরের দীপকবাবুর জন্ম হয়েছিল আলিপুরদুয়ার জেলা সদরের শহরের বাবুপাড়ায়। বাবুপাড়ায় ১৯৬৯ সালে দীপকবাবুর বাবা সেই পৈতৃক জমি বিক্রি করে দেন। তারপর দীপকবাবু সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। পৈতৃক জমি বিক্রি হওয়ায় ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত তিনি পরিবার নিয়ে আলিপুরদুয়ার শহরে ভাড়াবাড়িতে ছিলেন। বদলির চাকরি হওয়ায় এরপর তিনি পরিবার নিয়ে আলিপুরদুয়ার ছেড়ে হুগলির কোন্নগরের নবগ্রামে চলে যান। পরে সেখানেই বাড়ি বানিয়ে পাকাপাকিভাবে বসবাস করতে শুরু করেন দীপকবাবু।
অসমে এনআরসির জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অসুস্থ দীপকবাবু। এনআরসি আতঙ্কের তাড়ায় পৈতৃক জমির দলিলের প্রত্যয়িত নকল কপির জন্য চলতি মাসের ৭ তারিখে স্ত্রী অপর্ণাদেবীকে নিয়ে আলিপুরদুয়ারে আসেন। আলিপুরদুয়ার পুরসভার অতিথিনিবাসে ওঠেন। কিন্তু ৫০ বছর পর আলিপুরদুয়ার শহরের পথঘাট চিনতেই পারছিলেন না বৃদ্ধ দম্পতি। পরিচিত লোকজনকেও চিনতে পারছিলেন না।
আজ, বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার ছেড়ে নিজের বাড়িত ফিরে যাবেন ওই দম্পতি। দীপকবাবু বলেন, এনআরসির আতঙ্কে দেশা ছাড়া হওয়ার ভয় চেপেছিল। আমি এদিন কাগজপত্র হাতে পেলাম। এর জন্য সংবাদমাধ্যম, বিধায়ক সৌরভবাবু ও আমাদের বিক্রি হওয়া জমির বর্তমান শরিকদের ধন্যবাদ জানাই। সৌরভবাবু বলেন, এনআরসি আতঙ্ক বহু মানুষের রাতের ঘুম কেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই ওই বৃদ্ধ দম্পতির পাশে দাঁড়াই।