বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তেওয়ারি বলেন, ধান কেনার গতি আনতে এদিন প্রশাসনিক স্তরে মিটিং করা হয়। জেলার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের দিয়ে ধান ক্রয় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করি, আমরা সময়ের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যাব।
জলপাইগুড়ির খাদ্য নিয়ামক অমৃত ঘোষ বলেন, ধান কেনার জন্য চাষিদের নাম রেজিস্ট্রেশনের কাজ আমরা শুরু করেছি। এখনও পর্যন্ত ২২০৪ জন কৃষক ধান বিক্রির জন্য তাঁদের নাম নির্দিষ্ট কেন্দ্রগুলিতে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। আমরা জোরকদমে কাজ করছি।
এবার থেকে কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত চাষিরা তাঁদের ভোটার কার্ড দেখিয়ে সরকারের কাছে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারবেন। যাঁদের কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নাম নেই তাঁরা সুনির্দিষ্ট ফর্মে ঘোষণাপত্র দিয়ে ধান বিক্রি করতে পারবেন। রাজ্য সরকার নভেম্বর মাসে ১ তারিখ থেকে ধান কেনা শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ১৩ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু জেলা খাদ্যদপ্তর ধান কিনতে পারেনি। জেলা খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধান কেনার পর তা রাইস মিলে পাঠানো হয়। কিন্তু জেলার রাইস মিলগুলি এখনও সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেনি। তাদের সঙ্গে চুক্তি না হওয়ায় ধান কেনা যাচ্ছে না। চুক্তি সম্পন্ন না হওয়ায় শুধুমাত্র চাষিদের নাম নথিভুক্ত করে রাখা হচ্ছে। রাইস মিলারদের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পরে কৃষকদের কাছে ধান কিনে তা তাদের কাছে পাঠানো হবে। এই সপ্তাহেই চুক্তি সম্পন্ন হলে ধান কেনার কাজে গতি আসবে। এবার একেকজন কৃষকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ কুইন্টাল ধান কিনবে খাদ্যদপ্তর। প্রতি কুইন্টালে ১৮১৫ টাকা করে সহায়ক মূল্য সরকার নির্ধারণ করেছে। ধান ক্রয় কেন্দ্রে চাষিরা ধান বিক্রি করলে কুইন্টাল প্রতি অতিরিক্ত ২০ টাকা করে পাবেন। গত বছর জেলায় ৪৮টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী ধান ক্রয় করেছিল। প্রথমে সাতটি ধান ক্রয় কেন্দ্র হলেও পরে আরও ছ’টি কেন্দ্র করা হয়। খাদ্যদপ্তরের দেওয়া তথ্য বলছে, গত বছর প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মেট্রিক টন ধান জলপাইগুড়ি থেকে ক্রয় করা হয়েছিল। এই বছর দেড়লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।
গত বছর ২২টি রাইস মিল এখানে কেনা ধানগুলি নিলেও এই বছর আরও ছ’টি রাইস মিল কর্তৃপক্ষ ধান কিনতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। সমস্ত রাইস মিলকে একসঙ্গেই ধান কেনার জন্য নথিভুক্ত করার চেষ্টা চলছে। এদিন মিটিংয়ে রাইস মিলারদের সঙ্গে চুক্তি করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। মিটিং সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই সরকারি নিয়ম মেনে রাইস মিলগুলিকে নথিভুক্ত করা হবে।