পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দা বসন্ত বড়াইক, জাহাঙ্গির শেখ, শাহিদ শেখ বলেন, আমরা কৃষক। চাষবাস করেই সংসার চালাই। এখন খেতের ধান পাকছে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই তা কেটে ঘরে তোলার সময়। কিন্তু প্রায় রাতেই খেতে হাতি আসছে। বিকেলের পর জলঢাকা নদীর পেরিয়ে হাতি এদিকে আসতে থাকে। বাড়ি থেকে চাষের জমি কিছুটা দূরে। তাই সবদিন আমরা বুঝতে পারি না। তবে হাতি এসেছে জানতে পারলেই হাতির চোখে সার্চ লাইট মেরে পটকা ফাটাই। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয় না। হাতির পাল উল্টে আমাদের দিকেই তেড়ে আসে। তখন প্রাণ ভয়ে সেখান থেকে দূরে সরে যাই। চোখের সামনে পাকা ধান খেয়ে, মাড়িয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে। কীভাবে সংসার এবার চালাব জানি না। বনকর্মীদের ডাকা হলে তাঁরাও নির্দিষ্ট সময়ে আসেন না।
খুনিয়ার রেঞ্জার রাজকুমার লায়েক বলেন, এটা ধান পাকার মরশুম। আমার এলাকায় একই রাতে বিভিন্ন জায়গায় হাতির দল বেরয়। আমাদের মাত্র দু’টি গাড়ি রয়েছে। সেটা নিয়েই সমস্ত জায়গায় গিয়ে হাতি তাড়িয়ে আসতে হয়। গ্রামবাসীরা যখন ডাকেন তখনই যাওয়ার চেষ্টা করি। গাড়ি এবং কর্মী সংখ্যা বাড়ানো গেলে আমরা আশা করি পরিষেবা বৃদ্ধি করতে পারব।
নাগরাকাটাবস্তি ও সুখানিবস্তির পাশেই চাপড়ামারি অভয়ারণ্য। অন্যদিকে খাসবস্তির পাশেই গোরুমারা জঙ্গল আছে। ওসব বনাঞ্চল থেকেই হাতির দল বেরয়। সন্ধ্যা নামতেই হাতি আসতে শুরু করে। রাতভর এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যায়। গ্রামবাসীরা পটকা ফাটিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করলে হাতি যায় না। উল্টে হাতির পাল গ্রামবাসীদের দিকে তেড়ে আসে। ভয়ে গ্রামবাসীরা সরে যান। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতেও তিনটি হাতির দল ওই তিন গ্রামে ঢোকে। হাতির তাণ্ডবে প্রায় ৫০ বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়েছে।
হাতি উপদ্রুত ওই তিনটি গ্রামকে একসময়ে ব্যাটারি চালিত পাওয়ার ফেন্সিং দিয়ে ঘেরা হয়েছিল। দিনে ওসব তারে বিদ্যুৎ প্রবাহ করা হতো না। তাই দিনে হাতির পাল সহজেই ওই তার ছিঁড়ে দিতে পারে। বছর দু’য়েক আগে হাতি ওসব তার ছিঁড়ে দিয়েছে। নতুন করে বনদপ্তর আর তার না লাগানোয় অবাধে হাতি গ্রামে ঢুকে পড়ছে।