কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
করণিদিঘির বিএমওএইচ আভাস রাজ বলেন, এখানকার পরিস্থিতির কথা জানিয়েছে সিদ্ধান্তের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সিদ্ধান্ত তাঁরাই নেবেন। উত্তর দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) আরএন প্রধান বলেন, ডালখোলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক নেই। আমরা স্বাস্থ্যভবনে বিষয়টি জানিয়েছি। শীঘ্রই চিকিৎসক দেবে বলে তারা জানিয়েছে। যত দিন চিকিৎসক না আসছে ততদিন পরিষেবা চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশ আছে আয়ুশের চিকিৎসকেরা প্রাথমিকের চিকিৎসা করতে পারেন। কিন্তু একজন এমবিবিএস ডাক্তার নজরদারি রাখবেন। এই মুহূর্তে অন্য কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ওখানে ডাক্তার পাঠানোর মতো পরিস্থিতি নেই।
ডালখোলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২০টি বেড আছে। এরমধ্যে ১০টি পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্রের জন্য বরাদ্দ। ১০টি সাধারণ রোগীদের জন্য বরাদ্দ। একজন চিকিৎসক সেখানে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য গিয়েছেন। তাই বর্তমানে সেখানে কোনও এমবিবিএস চিকিৎসক নেই। চারজন আয়ুশ চিকিৎসক আছেন। তাঁরাই পরিষেবা দেন।
এদিকে গুরুত্বপূর্ণ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বাংলা-বিহার সীমান্ত ঘেঁষা এই শহরের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। প্রচুর মানুষ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভর করেন। পার্শবর্তী গ্রাম ও বিহারের বলরামপুর, বাইশির বাসিন্দারাও চিকিৎসা করাতে এই প্রথমিক স্থাস্থ্যকেন্দ্রে আসেন। স্বাভাবিকভাবেই এখানে রোগীর প্রচুর চাপ থাকে। শহরের উপর দিনে প্রতিদিন হাজারো যানবাহন চলাচল করে। প্রায়শই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় জখমদের চিকিৎসার জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আনা হয়। কিন্তু এর পরিকাঠামো সেভাবে না থাকায় রোগীর একটু রড় ধরনের সমস্যা হলেই তাঁকে করণদিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখান থেকে প্রয়োজনে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালেও ছুটতে হয়। অনেকে চিকিৎসার জন্য বিহারের কিষাণগঞ্জে যান। এই অসুবিধার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবি বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই তুলেছেন। এখন পরিষেবার উন্নতির বদলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বন্ধ হতে বসায় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে।