বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রায়গঞ্জ ব্লকের ভট্টদিঘি এলাকায় প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে জৈব পদ্ধতিতে রাসায়নিক সার প্রয়োগ ছাড়াই নানা প্রজাতির ধান চাষ করছেন কৃষকরা। তুলাইপাঞ্জি, কেরালা সুন্দরী, কালোজিরা, গোবিন্দভোগ সহ বিভিন্ন ধরনের ধান চাষ হচ্ছে সেখানে। চিকিৎসকরা বলছেন, জৈব সার প্রয়োগের মাধ্যমে উৎপাদিত ফসল নিয়মিত খেলে নানা ধরনের রোগব্যাধি থেকে নিস্তার পাওয়া যায়। ক্যান্সার, হাই ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় জৈব সার প্রয়োগের মাধ্যমে উৎপাদিত ফসলকে খাদ্যতালিকায় স্থান দিলে। জৈব চাষে আগ্রহী কৃষকরা বলেন, রাসায়নিক সার প্রয়োগ করলে চাষের জমির চরিত্রগত পরিবর্তন আসে। জমির মান ধীরে ধীরে কমে যায়। কিন্তু জৈব পদ্ধতিতে চাষ করলে জমির উর্বরতা আরও বৃদ্ধি পায়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার ক্ষেত্রেও পরোক্ষে তা ইতিবাচক ভূমিকাই নেয়। ওই কৃষকরা আরও বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এই পদ্ধতিতে আমরা চাষ করছি। আমাদের লক্ষ্যই হলো উন্নত মানের ফসল ফলানো। সে কারণে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের প্রয়োগ ছাড়াই জৈব সার প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা ফসল ফলাচ্ছি। এই ফসল শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং ফসল ফলানোর খরচও অল্প।
রায়গঞ্জে জৈব পদ্ধতিতে চাষে সফল কৃষকদের কৃষিক্ষেত্র দেখতে আসছেন আশেপাশের জেলার উৎসাহী চাষিরাও। তাঁরা বলেন, পরিবেশবান্ধব এই চাষ পদ্ধতি চাক্ষুষ করার জন্যই আমরা রায়গঞ্জে এসেছি। এই পদ্ধতিতে চাষ করলে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে তেমনি নানাবিধ রোগ থেকে মুক্তি পাবেন সাধারণ মানুষ।