কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
যদি তৃণমূলের দাবি সত্যি হয় তাহলে পুরাতন মালদহের রাজনীতিতে পঞ্চায়েত ভোটের পর এই প্রথম কোনও পঞ্চায়েত বিজেপির হাতছাড়া হতে চলেছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধানের পাশাপাশি কংগ্রেসের এক সদস্যও তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে রেখেছেন। তাঁরা গত শুক্রবার থেকেই গোপন ডেরায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই পঞ্চায়েত সদস্যরা খুব দ্রুত দলবদল করবেন। তারপরই ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবির এব্যাপারে ইতিমধ্যেই একপ্রকার প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে।
গত শনিবার থেকে বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষীরাম হাঁসদা ছাড়াও ফুলমণি হেমব্রম, বিশনি কোরামুদি এবং কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য বাবুরাম হেমব্রম কোনও গোপন ডেরায় আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন। প্রথমে খোঁজ মিলছিল না উপপ্রধান প্রভুনাথ দুবেরও। পরে তিনি অবশ্য প্রকাশ্যে এসেছেন এবং দল ছাড়ছেন না বলে দাবি করেছেন।
জেলা তৃণমূল নেতা তথা ইংলিশবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার(বাবলা) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মকাণ্ডে শামিল হওয়ার জন্য বিজেপি পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের চারজন সদস্য আমাদের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছেন। তাঁদের পাশাপাশি আরও কয়েকজনও আমাদের সঙ্গে যোগোযোগ করেছেন। আমরা সেটি দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি। আগামী দিনে তাঁরা আমাদের দলে যোগ দেবেন। সেই প্রস্তুতি চলছে। আমরা বোর্ড গড়ার ম্যাজিক সংখ্যা জোগাড় করে নিয়েছি। ইতিমধ্যে ওই পঞ্চায়েতে আমাদের বোর্ড গড়ার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। খুব দ্রুত বোর্ড গড়া হবে।
পুরাতন মালদহ ব্লক তৃণমূলের কনভেনার জহর ঘোষ বলেন, বিজেপি ও কংগ্রেস মিলিয়ে চারজন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে চলে আসছেন। তাঁরা বর্তমানে আমাদের ছত্রছায়াতে রয়েছেন। নিজেদের দলে তাঁরা গুরুত্ব পাচ্ছিলেন না। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁরা এধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা তাঁদের স্বাগত জানিয়েছি।
এবিষয়ে ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিজেপির প্রভুনাথ দুবে বলেন, দল ছেড়ে যাওয়ার জল্পনা ভিত্তিহীন। আমি বিজেপিতেই রয়েছি। ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষীরাম হাঁসদার ফোন বেশ কয়েক দিন ধরে বন্ধ রয়েছে । এদিনও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি ।
জেলা বিজেপির সহ সভাপতি গোপাল সাহা বলেন, তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী ওই সদস্যদের হাইজ্যাক করেছে। কয়েকজন সেই ডেরা থেকে পালিয়ে এসেছেন। এভাবে জোর করে কাউকে আটকে রাখা যায় না। আমরা এর প্রতিবাদে আন্দোলন করব।
পুরাতন মালদহ ব্লকের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েত বর্তমান বিজেপির দখলে রয়েছে। মোট ১৪টি আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে রয়েছে নয়টি। কংগ্রেস একটি এবং তৃণমূল চারটি আসন পায়। বিজেপি ভাবুকের বোর্ড দখল করে। প্রধান হন আদিবাসী বিজেপি নেতা লক্ষীরাম হাঁসদা। এখন বিজেপি সহ কংগ্রেসের ওই সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দিলে পঞ্চায়েত বিজেপির হাতছাড়া হয়ে যাবে। অঙ্কের বিচারে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাবে তৃণমূল। পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরুও করে দিয়েছে তারা। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বোর্ড গঠন করতে চেয়ে আবেদন জমা পড়েছে তৃণমূলের তরফে।