গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বিজেপির নাটাবাড়ি বিধানসভা এলাকার সংযোজক পুষ্পেন সরকার বলেন, এদিন দুপুরে নাটাবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস থেকে এক দল দুষ্কৃতী বোমা ছুঁড়তে ছুঁড়তে বেরিয়ে আসে। তারা তীরও ছোঁড়ে। সেই তীর আমাদের এক সমর্থকের পায়ে লাগলে তিনি আহত হন। এরপরেই স্থানীয়রা তৃণমূল কংগ্রেসের ওই পার্টি অফিসটি ঘেরাও করে। তাঁরা দাবি করেন, সেখানে অনেক বোমা মজুত করা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা নাটাবাড়ি বিধানসভার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, রবিবার রাতে নাটাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে আমাদের প্রধানের বাড়িতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমা মারে। এদিন তারা আমাদের লোকদের আটকে রাখে। রবিবার রাত থেকে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকায় মুড়ি মুড়কির মতো বোমা মারছে। আমরা বোমার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। ওদের সঙ্গে লোকজন নেই। তাই ওরা এসব করছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার মহম্মদ সানা আখতার বলেন, পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ, বোমাবাজি, মারপিট, গণ্ডগোল লেগেই রয়েছে। এই সব ঘটনায় বহু মানুষ আহতও হয়েছেন। মূলত বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যেই এই সমস্ত গণ্ডগোলগুলি হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কিছু দিন আগে বিজেপি-তৃণমূল রাজনৈতিক সংঘর্ষে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগও উঠেছে। এরই মধ্যে রবিবার রাত থেকেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা নাটাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে বোমা ছোঁড়ে বলে অভিযোগ উঠলে এলাকায় একটা উত্তেজনা ছড়ায়। এদিন সকালে ওই এলাকার কিছু তৃণমূল সমর্থক নাটাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দিকে যাওয়ার সময়ে তাঁদের আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এরপরেই দুপুরে তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠলে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।