গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গত বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির জেলাস্তরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার খরচ চালানো জন্য রাজ্য সরকারের তরফে ৬ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। অঞ্চল ও সার্কেল স্তরে প্রতিযোগিতার জন্য ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার বরাদ্দ করা হয়েছিল। এছাড়াও এসএসকেগুলির কাছ থেকে ১৫০০ টাকা করে নেওয়া হয়। মোট প্রায় ১২ লক্ষের বেশি টাকা বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য বরাদ্দ হয়। এবছরের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নিয়ে বৈঠকেই এই তথ্য উঠে আসে। গত ৫ তারিখে সেই বৈঠক হয়। সেখানে গত বছরের বরাদ্দ টাকার হিসেব পেশের বিষয় উঠে আসে। বৈঠকে এনিয়ে ব্যাপক তর্কবিতর্ক হয়। অভিযোগ উঠেছে ওই বৈঠকে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য কোন খাতে কত খরচ করা হয়েছে তার কোনও হিসেব দেখাতে পারেননি ক্রীড়া পরিচালন কমিটির কর্তাব্যক্তিরা। শুধু রাজ্য সরকারের বরাদ্দ ৬ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকার হিসেবই পেশ করা হয়। এনিয়ে বৈঠকে সরকারের আধিকারিকের পাশাপাশি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীর রায় ও শিক্ষক সংগঠনগুলি সরব হয়। হিসেব কেন দেখানো হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে। বিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনিয়মের অভিযোগ তুলে তদন্তের দাবি জানিয়েছে। ক্রীড়া পরিচালন কমিটির সম্পাদক তথা তৃণমূলের শিক্ষক নেতা সুকলাল হাঁসদা বলেন, হিসেব পুরো দেখানো হয়েছে। কোথাও কোনও অস্বচ্ছতা নেই। ভীত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আমরা সবরকম চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) মৃণাল রায় বলেন, ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরো বিষয় পরিচালন কমিটির সম্পাদক দেখেন। এবিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। অনিয়ম নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। এলে খতিয়ে দেখব।
এদিকে জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের প্রবীর রায় বলেন, আমাকে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। সেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম। বৈঠকে ক্রীড়া পরিচালন কমিটি গত বছরের পুরো আয়-ব্যয়ের হিসেব দেখাতে পারেননি। শিক্ষক সংগঠন ও আমি নিজেও এনিয়ে সরব হয়েছিলাম। পুরো হিসেব দ্রুত দেখানো উচিত। কোনও গোলোযোগ কিছু না হলে কেন পুরো হিসেব সামনে আনা হবে না? নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সম্পাদক শংকর ঘোষ বলেন, পুরো টাকার হিসেবে দেখানো নিয়ে সরব হয়েছিলাম। মিটিংয়ে গতবারের পুরো টাকার হিসেবে দেখানো হয়নি। এবছরের ক্রীড়া পরিচালন কমিটিতেও শাসক দলের সংগঠনের নেতাদেরই রাখা হয়েছে। বিরোধী দলের কাউকে সেখানে রাখা হয়নি। আমরা গতবারের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় খরচ নিয়ে প্রশাসনিক তদন্ত দাবি করছি। সারা বাংলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ শীল বলেন, অনিয়ম হয়েছে। প্রশাসন নিশ্চুপ। নতুন পরিচালন কমিটিও অবৈধ। বৈঠকে আলোচনা ছাড়া রাতারাতি এই কমিটি তৈরি করা হয়েছে। বঙ্গীয় প্রাথমিক নব উন্মেষ সংঘের সম্পাদক রাহুল দেব রায় বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে সরকারি অর্থের খরচ নিয়ে যথাযথ তদন্তের দাবি করছি। আয়-ব্যয়ের হিসেব প্রকাশ্যে আনা হোক।