পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অমলবাবু বলেন, উপনির্বাচন নিয়ে দলের তরফে এখনও কিছু দায়িত্ব আসেনি। দায়িত্ব এলে নিশ্চই পালন করব। দলীয় প্রার্থীর মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার আগের দিন রাত সাড়ে ১০টার সময় জেলা সভাপতি ফোন করে আমাকে মনোনয়নের সময় থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু সেসময় আমি কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়ে দিয়েছিলাম। ট্রেনে ছিলাম। আগে থেকে ওই কর্মসূচি জানা থাকলে সেখানে থাকতে পারতাম। এবিষয়ে কানাইয়ালাল আগরওয়াল শুধু বলেন, অমলবাবুও প্রচারে থাকবেন।
অমলবাবুকে প্রচারে দেখতে না পাওয়া নিয়ে প্রার্থী তপন দেব সিংহকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এবিষয়ে নেতৃত্ব বলতে পারবে। তবে ১৩ নভেম্বর শুভেন্দু অধিকারী কালিয়াগঞ্জে কর্মিসভা করবেন। আমি বুথ থেকে অঞ্চল প্রচার করে চলেছি।
কালিয়াগঞ্জ উপনির্বাচন ঘোষণা হতেই তৃণমূল নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দেয়। জেলা সভাপতি দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন। সেখানে নির্বাচন পরিচালনা নিয়ে ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে ফেলা হয়। কিন্তু দল সূত্রেই জানা গিয়েছে সেসব সভায় অমলবাবুকে দেখা যায়নি। দলীয় প্রার্থীর মনোনয়নের দিন কানাইয়া, গোলাম রব্বানি সহ জেলা স্তরের অনেক নেতাই উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু অমলবাবু ছিলেন না। এনিয়ে আলোড়ন পড়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন দলের জেলা সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন অমলবাবু। গত লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্র দলের প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়াল পরাজয়ের পরে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমলবাবুকে পদ থেকে সরিয়ে দলের চেয়ারম্যান করেন। কানাইয়াবাবুকে জেলা সভাপতি পদে বসান। রাজনৈতিক মহলের আলোচনা এরপর থেকেই দলীয় কর্মসূচিতে অমলবাবুকে আর সেভাবে দেখা যায় না। তার রেশ এখনও চলছে। কালিয়াগঞ্জ উপনির্বাচনে অমলবাবু ও তাঁর অনুগামীদের অনুপস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলের নজর পড়েছে। জেলা সভাপতি থাকাকালীন অমলবাবু জেলার বিভিন্ন ব্লকে সভাপতিদের নিয়োগ করেছিলেন। যাদের তিনি নিয়োগ করেছিলেন তাঁদের সঙ্গে অমলবাবুর সম্পর্ক ভালো রয়েছে। কালিয়াগঞ্জেও তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী আছেন যারা অমলবাবুকে ভোট ময়দানে না পেয়ে নিজেরাও তেমনভাবে মাঠে নামেনি। এনিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, অমলবাবুর অনুপস্থিতি উপনির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। দলের জেলা সভাপতির পদেও ছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো উচিত ছিল। বিশেষ করে গত লোকসভা নির্বাচনে এই এলাকায় বিজেপি ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে লিড নিয়েছে। এমন দুর্বল জায়গায় সকলকে নিয়ে চলাই উচিত ছিল নেতৃত্বের।