কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
জলপাইগুড়ি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নন্দলাল বাজাজ বলেন, ২০১৫ সালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরেও ব্যবসায়ীদের হুঁশ ফেরেনি। অধিকাংশ দোকানে অগ্নিনির্বাপণ সংক্রান্ত কোনও ব্যবস্থা নেই। অগুন লাগলে কী করতে হবে তাও ব্যবসায়ীরা ঠিকমতো জানেন না।
দিনবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক শরৎ মণ্ডল বলেন, ২০১৫ সালে অগ্নিকাণ্ডের পরে বাজারের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। সেই সময়ের অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্তরা এখনও ক্ষতিপূরণ পাননি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা কেউ টোটো চালাচ্ছেন কেউ আবার অন্যের দোকানে কাজ করছেন। নতুন মার্কেট কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে তাঁদের স্টল দেওয়ার দাবি আমরা পুরসভার কাছে রেখেছি।
জলপাইগুড়ি পুরসভার ২২ ওয়ার্ডের কংগ্রেসের কাউন্সিলার কংগ্রেসের পিনাকি সেনগুপ্ত বলেন, ২০১১ সালে দল পুরসভার ক্ষমতাসীন থাকার সময় দিনবাজার এলাকা পরিদর্শন করে। সেই সময় দিনবাজারের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তৃণমূল পুরবোর্ডে ক্ষমতায় এলে সেই পরামর্শগুলি মানা হয়নি। পুরনিয়মকে তোয়াক্কা না করেই দিনবাজারে একাধিক নির্মাণ কাজ চলছে। তাই বাজার জতুগৃহে পরিণত হয়েছে। পুরসভার দিনবাজার এলাকা নিয়মিত পরিদর্শন করে অগ্নিনির্বাপণ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
তৃণমূল পরিচালিত জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়্যারমান মোহন বসু বলেন, রাজ আমলে তৈরি এই বাজারের আয়তন বাড়েনি। কিন্তু ক্রেতা বিক্রেতা বেড়েই চলছে। তাই ধাপে ধাপে বাজার সংস্কার করে অত্যাধুনিক বাজার তৈরি করা হবে। প্রয়োজনে বাজার সম্প্রসারণের জন্য আমরা জমি কিনব। প্রথম দফায় তৈরি মার্কেট কমপ্লেক্সে অগ্নিনির্বাপণ সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় মানা হয়েছে।
জলপাইগুড়ি দমকল কেন্দ্রের স্টেশন অফিসার প্লাবন মোদক বলেন, দিনবাজারের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সর্ম্পকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই যা বালার বলবে।
২০১৫ সালে ভয়াভহ অগ্নিকাণ্ডে দিনবাজারের একাংশ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ১৩২টি দোকান ভস্মীভূত হয়ে যায়। ব্যবসায়ীদের সূত্রেই জানা গিয়েছে, বাজারের মুড়িপট্টিতে আগুন লেগেছিল। সেখান থেকে পাশে বাজির দোকান ও গুদামে তা ছড়িয়ে যেতেই এতটা ক্ষতি হয়েছিল। ১৮৯৬ সালে রাজা ফণীন্দ্রদেব রায়কতের তৈরি টিনের শেডটিও ওই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত বাজারের জায়গায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর মার্কেট কমপ্লেক্স বানানোর কাজ শুরু করেছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে দিনবাজারে এক হাজারের উপরে দোকানঘর রয়েছে। কাপড়, স্টেশনারি, মুদিখানা দোকান আছে। এছাডাও চাউল হাটি, মাছ, মাংসের বাজার বসে। সিংহভাগ ব্যবসায়ী দোকানের বাইরে তাঁদের বিক্রির জন্য পণ্য সাজিয়ে রাখেন। ফলে গলিগুলি সংকীর্ণ হয়ে আছে। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে দমকলের ইঞ্জিন ঢোকার রাস্তা পাওয়া যাবে না। আগুন লাগলে করলা নদী থেকে দিনবাজারে জল আনা হয়। দিনবাজার থেকে করলা নদী পর্যন্ত রাস্তা তৈরির কথা থাকলেও সেটিও এখনও করা হয়নি।