পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অস্থায়ী সাফাইকর্মী বিট্টু বাসফোর বলেন, আমাদের উপরে অত্যধিক কাজের চাপ রয়েছে। বুধবার আমাদের একজন সুপারভাইজার অসুস্থ হয়ে মারা যান। আমাদের অনেকে ঠিকমতো বেতন পান না। সেই কারণেই আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আমাদের সঙ্গে অস্থায়ী নিরাপত্তাকর্মীরাও কাজ বন্ধ করেছিলেন। এদিন প্রশাসন আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে। আমরা জানতে পেরেছি, ১৬ নভেম্বর সুপার ও প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে এই বিষয়ে আবার কথা হবে। দুপুরের পর আমরা তাই এদিন কর্মবিরতি তুলে নিই। বিকেল থেকে সাফাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। অস্থায়ী নিরাপত্তাকর্মীরাও কাজে যোগ দিয়েছেন।
কোচবিহারের মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল বলেন, এদিন দু’জন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তাঁরা কর্মবিরতি তুলে নেন।
আন্দোলনকারীদের দাবি, বেশকিছু দিন ধরেই কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অস্থায়ী সাফাই ও নিরাপত্তার কাজে নিযুক্ত অস্থায়ী কর্মীদের কাজের বিষয়ে ব্যাপক চাপ দেওয়া হচ্ছে। কাজ করার পরেও তাঁদের অনুপস্থিত দেখানো হয়। এখানে ৩৫ জন অস্থায়ী নিরাপত্তাকর্মী ও ৪০ জন অস্থায়ী সাফাইকর্মী রয়েছেন। বৃহস্পতিবার কর্মবিরতি শুরু হলে হাসপাতালের সাফাইয়ের কাজে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এরপর শুক্রবারও সেই কর্মবিরতি চলতে থাকায় পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। হাসপাতালে থাকা রোগী ও তাদের আত্মীয়রা সমস্যার মধ্যে পড়েন। হাসপাতালের যত্রতত্র আবর্জনা, চিকিৎসায় ব্যবহৃত জিনিস প্রভৃতি পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার পর অচলাবস্থা কাটে।