ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
ইংলিশবাজার পুরসভায় তৃণমূল কাউন্সিলারদের একটা বড় অংশ তৃণমূলের বোর্ডের বিরুদ্ধেই অনাস্থা নিয়ে আসায় মাত্র মাসখানেক আগেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল মালদহ জেলার রাজনীতিতে। আগামী বছরই পুরসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই ইংলিশবাজার পুরসভায় তৃণমূলের বোর্ড ভেঙে যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তেমন পরিস্থিতি হয়নি। রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে কোনওমতে অবস্থা সামাল দেওয়া হয়। কিন্তু তারপর মাসখানেক কেটে গেলেও কিন্তু পুরসভায় বিক্ষুব্ধদের আর কোনও উচ্চবাচ্য শোনা যাচ্ছে না। বরং তাঁদের নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।
পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান কাউন্সিলার নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি বলেন, মানুষের উন্নয়ন করার জন্য আমি অন্য দল থেকে তৃণমূলে এসেছি। কিন্তু শহরবাসী তথা নিজের ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্যই কাজ করতে পারছি না। আমি ছেড়ে কথা বলার লোক নই। এব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করছি। সময় হলেই তা সকলে জানতে পারবেন। ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার (বাবলা) বলেন, পুর পরিষেবা এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। বিষয়টি দ্রুত চেয়ারম্যানকে জানাব।
উল্লেখ্য, তৃণমূল পরিচালিত ইংলিশবাজার পুরসভায় পুজোর আগে অনাস্থা আসে। চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে ভাইস চেয়ারম্যান সহ সিংহভাগ তৃণমূল কাউন্সিলার বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের হস্তক্ষেপের পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব বিক্ষুব্ধদের কলকাতায় ডেকে পাঠায়। সেখানে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দলীয় কাউন্সিলারদের নিয়ে বৈঠক করেন। রাজ্য নেতৃত্ব কাউন্সিলারদের অভিযোগ জেনে নিয়ে পুরসভায় তদন্তকারী দল পাঠানোর কথা জানায়। পুজোর আগেই ওই দলের শহরে আসার কথা ছিল। কিন্তু এখনও তা আসেনি। ফলে কাউন্সিলাররা ফের ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছেন বলে জানা গিয়েছে। কয়েকজন বিজেপিতে যাওয়ার ব্যাপারেও ঘনিষ্ঠদের মধ্যে আলোচনা করেছেন।
বিষয়টির দিকে নজর রাখছে গেরুয়া শিবির। এব্যাপারে বিজেপির মালদহ জেলা সহ সভাপতি তথা দলীয় মুখপাত্র অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমাদের দল এমনিতেই বাড়ছে। তবে তৃণমূল ছেড়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কোনও কাউন্সিলার আমাদের দলে আসতে চাইলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।