ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পশ্চিম) অতুল ভি বলেন, নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হল। বাকি অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।
শিলিগুড়ি শহর সংলগ্ন মাটিগাড়ার খাপরেইল মোড়ের কাছে জঙ্গলে ওই নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠে একটি ম্যাক্সিক্যাবের চালক ও খালাসি সহ চারজনের বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগ ওঠার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বুধবার মাটিগাড়া থানার পুলিস অভিযুক্তদের মধ্যে রজত বিশ্বাস ও শেষ কুমার নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। প্রথমজন ম্যাক্সিক্যাবের খালাসি ও দ্বিতীয়জন চালক। এই মামলা নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই শিলিগুড়ি মহকুমা আদালত চত্বরে টানটান উত্তেজনা ছিল। নির্যাতিতা নাবালিকার আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা আদালত চত্বরে ভিড় করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের আদালতে নিয়ে আসতেই নির্যাতিতার আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পুলিস ভ্যান থেকে নামানোর সময় ধৃতদের কঠোর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিতে শুরু করেন। ধৃতদের মারধর করার জন্য কয়েকজন বিক্ষোভকারী তেড়ে যান বলে অভিযোগ। পুলিসের তৎপরতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এরপর ধৃতদের হয়ে আদালতে না দাঁড়ানোর জন্য আইনজীবীদের কাছে আবেদন করেন বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ধৃতদের পক্সো মামলা সংক্রান্ত বিশেষ আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের হয়ে কোনও আইনজীবী এজেলাসে দাঁড়াননি। স্বাভবিকভাবেই ধৃতদের জামিনের আবেদন আদালতে জমা পড়েনি। এফআইআরের কপি ও পুলিসের সিজার লিস্ট পর্যবেক্ষণ করার পর ধৃতদেরকে জেলা হেফাজতে রাখার নির্দেন দেন বিচারক।
সরকার পক্ষের আইনজীবী পীযূষকান্তি ঘোষ বলেন, ধৃতদের ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ জারি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিস আদালতের কাছে নির্যাতিতা নাবালিকার গোপন জবানবন্দি গ্রহণ এবং টিআই প্যারেডের আবদন জানিয়েছে। সেই আবেদন মেনে নিয়েছেন বিচারক।
অন্যদিকে নাবালিকা নির্যাতনের ঘটনার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্য কিছু তথ্য পেয়েছে পুলিস। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে ওই ম্যাক্সিক্যাব করে একটি শপিং মল থেকে ওই নাবালিকারা বাগডোগরা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত আসে। সেখান থেকে তাদেরকে আবার ওই ম্যাক্সিক্যাবেই তোলা হয়। পুলিস জানতে পেরেছে, নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে ওদেরকে আবার ম্যাক্সিক্যাবে তোলে অভিযুক্তরা। তারা মাটিগাড়ার কাছে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ওই নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালায়। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতার ভাইকে ম্যাক্সিক্যাবে চাপিয়ে ঘোরানো ও চকোলেট দেওয়ার লোভ দেখানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ। শিলিগুড়ি ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পশ্চিম) বলেন, ওই ঘটনার তদন্তে নেমে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য মিলেছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিন বাগডোগরা থেকে আশিস রায় নাম আরও একজনকে ধরা হয়েছে। এদিনই নির্যাতিতার বাড়িতে যান শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি সিপিএমের তাপস সরকার।