ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
শহরের বাসিন্দারা বলেন, রাতে ওষুধ কেনার ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। রাতে সামান্য কিছু হলেও তাই স্রেফ ওষুধের প্রয়োজনে ছুটতে হয় হাসপাতালে। প্রয়োজনীয় একটি ওষুধ পেলেই যে সমস্যা মিটে যেত, সে জায়গায় আপৎকালীন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হয়ে থাকতে হয়। রাত একটু বাড়লেই শহর সমেত জেলার ওষুধের দোকানগুলি বন্ধ হয়ে যায়।
মালদহ বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক হিরন মুখোপাধ্যায় বলেন, রাতে শহরে দুয়েকটি দোকান খোলা থাকে শুনেছি। তবে বিশাল জনসংখ্যায় তুলনায় সেই পরিষেবা খুব কম। আমরা নিরাপত্তার স্বার্থেই দোকান খুলে রাখতে পারি না। অনেক সময় রাত বাড়লেই ড্রাগ আসক্তরা এসে উৎপাত করে। এনিয়ে প্রশাসনিকভাবে সহায়তা পেলে অবশ্যই বিষয়টি আমরা বিবেচনা করে দেখব।
ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, শহরের প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা রাতে ওষুধের জন্য সমস্যায় পড়তে পারেন। এটা স্বাভাবিক। তবে শহরে বেশ কিছু দোকান রাতেও খোলা থাকে বলে শুনেছি। তাছাড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সবসময়ই ওষুধ মেলে।
পুরাতন মালদহ শহরের মঙ্গলবাড়ির বাসিন্দা রাজেশ ঘোষ বলেন, পুরাতন মালদহ শহর ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা। অথচ রাতে ওষধ মেলে না। গত সোমবার দাদুর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় বারোটা নাগাদ ইনহেলারের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেছি। এই শহরে কোনও দোকান খোলা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ইংলিশবাজারে যাই। সেখানেও প্রথমে কোনও দোকান খোলা পাইনি। শেষে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে একটি দোকান থেকে ওষুধ নিয়ে আসি। আমরা চাইছি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকুক অন্তত কয়েকটি ওষুধের দোকান।
ইংলিশবাজার শহরের জনসংখ্যা পাঁচ লাখের বেশি। পুরাতন মালদহে তা আড়াই লাখের কাছাকাছি। দুই শহরের বিপুল জনসংখ্যার তুলনায় রাতে ওষুধের দোকান খোলা থাকার সংখ্যা নগণ্য। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে একটি ওষুধের দোকান খোলা থাকে। তাছাড়া আরও দুটি দোকান গভীর রাত অবধি খোলা থাকলেও সেগুলি নিয়মিত নয়। বাকি সব দোকান মোটামুটি রাত ১১টা বাজতে না বাজতেই বন্ধ হয়ে যায়। অনেকে বাধ্য হয়ে হাসপাতালে গেলে ওষুধ পেতে গেলে অনেক প্রশ্নের মুখে পড়েন। বেশিরভাগ সময়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। আপদকালীন সময়ে ওষুধ না পেয়ে অনেকে ভর্তি হতে বাধ্য হন। আবার কখনও ওষুধের অভাবে জটিলতা বাড়ে। এমনকি মৃত্যুর ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে।