বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও ম্যানেজমেন্ট নিয়ে এদিন মহকুমা পরিষদের হলে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে জেলা প্রশাসন। বৈঠকে পরিষদের অতিরিক্ত নির্বাহী আধিকারিক প্রেমকুমার বরদেওয়া, শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক সুমন্ত সহায়, সিএমওএইচ, ডেপুটি সিএমওএইচ-২ তুলসী প্রামাণিক, শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডল সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের কয়েকজন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। সেখানে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা, এলাকা পরিষ্কার রাখা, ভেক্টর কন্ট্রোল টিম ও টাস্ক ফোর্সের সক্রিয়তা, ধোঁয়া ও তেল স্প্রে, মশার বংশ বৃদ্ধির হার প্রভৃতি বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, অনেকদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছটা বেড়েছে। এরবাইরে পরিবেশগত কিছু কারণ রয়েছে। নিয়মিত এলাকা সাফাই হচ্ছে না। জমা জল বাইরে বের করা হচ্ছে না। তাছাড়া পুরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু এলাকায় মশার বংশ নিধনের কাজ সেভাবে চলছে না। মশার লার্ভা নিধনে স্প্রে এবং মশা নিধনে ফগিংও অনেক জায়গায় গুরুত্ব দিয়ে করা হচ্ছে না। এই সব কাজের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মী, ভেক্টর কন্ট্রোল টিম ও সিটিজেন টাস্ক ফোর্সের মধ্যে সমন্বয়ের কিছুটা অভাব রয়েছে। এই ধরনের কিছু ত্রুটির জেরেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে বামফ্রন্ট শাসিত শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র অশোক ভট্টাচার্য ডেঙ্গু প্রতিরোধ কর্মসূচি নিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ নিয়ে পুরসভার বৈঠকে স্বাস্থ্যদপ্তর আসছে না। মশা নিধনে পুরসভার করণীয় কাজকর্ম নিয়ে নিয়মিত পরামর্শও দিচ্ছে না। এদিন সিএমওএইচ’র বক্তব্য শোনার পর স্বাস্থ্যদপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সভাধিপতি তাপসবাবু। তিনি বলেন, গ্রামীণ এলাকা পরিষ্কার রাখা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের বোঝানো আমাদের কাজ। ভেক্টর কন্ট্রোল টিম ও সিটিজেন টাস্ক ফোর্সের মাধ্যমে তা নিয়মিত করা হচ্ছে। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে লার্ভানাশকও স্প্রে করা হচ্ছে। কিন্তু মশা নাশক ধোঁয়া ফগিং করা হচ্ছে না। বিএমওএইচের অফিসে ফগিং মেশিন দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখা হয়েছে। কাজেই গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে স্বাস্থ্যদপ্তরকে নিজেদের দিকে তাকানো উচিত।
শিলিগুড়ি সহ দার্জিলিং জেলায় হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। প্রশাসনের হিসেব অনুসারে, অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯০০ জনের কাছাকাছি। এখন বেড়ে ১০২৯ জন। যারমধ্যে শিলিগুড়ি শহরে ৮২২, জিটিএ এলাকায় ৫৩ এবং শিলিগুড়ির গ্রামীণ এলাকায় ১৫৪ জন। বেসরকারি হিসেব আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি। এদিন বিকেলে ডেঙ্গু নিয়ে নার্সিংহোম সহ বেসরকারি ল্যাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্বাস্থ্যদপ্তর বৈঠক করে।