বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ৫৭ হাজার ভোটে লিড পেয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরি। কয়েকমাসের ব্যবধানে এবারে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে তাদের প্রার্থী কমল সরকার লড়ছেন। লোকসভার জয়ের মার্জিন ধরে রাখাটাই এখন বিজেপি ভোট ম্যানেজারদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলের নেতারাও অনেকেই দাবি করছেন, কম মার্জিনে হলেও কালিয়াগঞ্জ তাদের দখলেই আসবে। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ লাহিড়ি বলেন, ৫৭ হাজার থেকে এবারে এক লক্ষ লিড করাই আমাদের টার্গেট।লোকসভা নির্বাচনে যেভাবে সাধারণ ভোটাররা দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন, বিধানসভাতে তার ব্যতিক্রম হবে না। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা ইতিমধ্যে কালিয়াগঞ্জে ঘাঁটি গেড়েছেন। তিনি প্রচারের শেষ দিন পর্যন্ত থাকবেন। এছাড়াও তাদের দলের রাজ্য এমনকি কেন্দ্রীয় হেভিওয়েট নেতারাও এখানে প্রচারে আসবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
লোকসভা নির্বাচন ও বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রেক্ষাপট এক নয়, তাই বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ভালো ফল করবে বলে দাবি করেছেন দলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ। তাঁর দাবি, বিজেপি থেকে মানুষ কয়েক মাসের মধ্যেই মুখ ফিরিয়েছেন। আমাদের প্রার্থী জয়ী হলে কালিয়াগঞ্জে বাস্তব উন্নয়ন হবে এটা সাধারণ ভোটারদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না। তাই তারা চুপচাপ ঘাসফুলেই নিজেদের ভোট দেবেন। আমরা সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জে মিছিল করে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। বিজেপি থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসকেই চাইছে। কংগ্রেসের প্রার্থী ধীতশ্রী রায় দাবি করেছেন, কালিয়াগঞ্জ কংগ্রেস বামেদের শক্ত ঘাঁটি। তাই জোটের প্রার্থী হয়ে প্রচারে গিয়ে ভালো সাড়া পাচ্ছি।
কালিয়াগঞ্জ মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, বিধানসভা উপনির্বাচনে কাকে ভোট দেবো ঠিক করিনি। লোকসভা নির্বাচনে অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম। বাজারের এক চা বিক্রেতা বলেন, ভোট নিয়ে মাতামাতি করে কি লাভ? এখান থেকে তো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হল। কিন্তু কোথায় দিনের ট্রেন? কোথায় সব উন্নয়ন। কালিয়াগঞ্জের প্রতিষ্ঠিত এক ব্যবসায়ী বলেন, এনআরসি ইস্যুতে এখানকার আমজনতার মধ্যে একটা আতঙ্ক, উদ্বেগ রয়েছে। ফলে ভোটচর্চা করার চাইতেও এনআরসি হলে কী হবে? সেটাই আলোচনা শোনা যায় মানুষের মুখে মুখে। ভোট নিয়ে আমজনতার এই নীরবতায় ভোট ম্যানেজাররা খানিকটা হলেও অস্বস্তিতে রয়েছেন।