ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
হলদিবাড়ি চা বাগানের শ্রমিক কলিনা কিন্ডো বলেন, যেভাবে একাংশ শ্রমিক হাঁড়িয়া, নেশার ট্যাবলেট রোজ খায় তাতে তাদের লিভারে নানা অসুখে বাসা বাঁধছে। গত কয়েক বছরে বেশ কিছু শ্রমিক মারা গিয়েছেন। নেশা করে অনেকেই বাড়িতে এসে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঝামেলা করে। আমরা চাই নেশা থেকে সমাজ মুক্ত হোক। এদিনের কর্মসূচিতে আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ গ্রহণ করি।
হলদিবাড়ি চা বাগানের ম্যানেজার অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের বাগানে যত্রতত্র বিভিন্ন ধরনের নেশার সামগ্রী বিক্রি হয়। আমরা এদিন সচেতনতা শিবির করে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছি বাগানে কোনওরকম নেশার সামগ্রী বিক্রি করা যাবে না। এর পরেও কেউ ওসব বিক্রি করলে পুলিস ব্যবস্থা নেবে। কোনও শ্রমিক যদি নেশার সামগ্রী বিক্রি করেন তবে তাঁকে বাগান ছাড়া করা হবে।
বানারহাট থানার আইসি বিপুল সাহা বলেন, বিভিন্ন সময়েই চা বাগানের মহিলারা আমাদের অনুরোধ করেন যাতে বাগানে মদ বিরোধী অভিযান চালানো হয়। আমরা তাঁদের কথা মতো বাহিনী নিয়ে অভিযানে গিয়ে উল্টে বিরোধিতায় পড়ি। এমনকী আমাদের কয়েক জায়গায় অতীতে ঘেরাও করা রাখা হয়েছিল। আমরা বাসিন্দাদের সচেতন করি। আগামী দিনেও এমন কর্মসূচিতে আমরা থাকব।
ডিবিআইটিএ’র ডেপুটি সেক্রেটারি রানা দে বলেন, অনেক চা বাগানেই হাটের দিনে হাঁড়িয়ার দোকান বসে। চা বাগানে ঘেঁষা বিভিন্ন এলাকায় বেআইনিভাবে নেশার সামগ্রী বিক্রি করা হয়। আমরা এসব বেআইনি কাজ বন্ধ করতে বহুবার প্রচার করছি। হলদিবাড়ি চা বাগানের এদিন যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। আমরা সংগঠনগতভাবে বাগানে বাগানে নেশা বিরোধী প্রচারাভিযান চালাব।
ডুয়ার্সের চা বাগানগুলিতে মদ বিরোধী অভিযান করতে গিয়ে প্রায়ই পুলিস ও আবগারি দপ্তরের আধিকারিকদের স্থানীয়দের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হতে হয়। চা বাগানের পুরুষ শ্রমিকদের একাংশ আয়ের একটা বিরাট অংশ নেশার পিছনেই শেষ করে দেয়। এতে সংসারে আর্থিক অনটন তৈরি হচ্ছে। তাই এসব রুখতে এদিন হলদিবাড়ি চা বাগানে এমন সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়।