ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
মালদহ বণিক সভার সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, শুধু ব্যবসায়ীদের দোষ দিলে হবে না। তাঁদের উপর জরিমানার খাঁড়া চাপিয়ে দিলেও হবে না। ক্রেতাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। এই বিষয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করে বা লিফলেটে প্রচারের দরকার রয়েছে। ক্রেতাদের বোঝাতে হবে যে প্লাস্টিক ব্যবহার করবেন না। ক্রেতা ও বিক্রেতা সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে সমস্যা মিটবে। প্লাস্টিক ব্যবহারের জন্য পুরসভা ব্যবসায়ীদের জরিমানা করবে, অথচ একই কাজে ক্রেতাদের কেন জরিমানা করা হবে না?
ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, এটা আমাদের একার স্বার্থের বিষয় নয়। এটা প্রতিটি মানুষের বেঁচে থাকার বিষয়। সকলকেই সচেতন হতে হবে। শুধু ব্যবসায়ীদের উপর জরিমানা চাপিয়ে দেব, একথা তো বলিনি। আমরা মাইকে প্রচার করে ক্রেতাদেরও বোঝাব। ক্রেতারা যদি না চান, বিক্রেতারা রাখবেন না। অনেক সময় প্লাস্টিকের ক্যারিবাগে ক্রেতারা গরম গরম জিনিস নিয়ে যান। ওটি খেলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
শহরের ফোয়ারা মোড় সংলগ্ন এলাকায় ব্যবসা করেন সঞ্জয় সরকার। তিনি বলেন, প্লাস্টিকের ব্যাগ না দিলে বেশিরভাগ খদ্দের জিনিস কিনতে চান না। আমরাও জানি এই পাতলা প্লাস্টিকের ব্যাগগুলি পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর। অবশ্যই এর ব্যবহার বন্ধ হওয়া উচিত। কিন্তু এই অবস্থায় আমরা কী করব? কাল সন্ধ্যায় একজন ক্রেতা ১৬০ টাকার জিনিস কিনলেন। প্লাস্টিকের ব্যাগ চাইলেন। আমি ব্যাগ দিতে রাজি না হওয়ায় রাগ করে জিনিসগুলি না নিয়েই চলে গেলেন। আমার ব্যবসা নষ্ট হল। অবৈধ প্লাস্টিকের ব্যাগের ব্যাবহার রুখতে ক্রেতাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। নইলে অভিযান চালিয়েও কাজ হবে না।
শহরের মাংস বিক্রেতারা বলেন, ছোট ক্যারিবাগের ব্যবহার আমরা এখন বন্ধই করে দিয়েছি। ওই ব্যাগ এককেজি কিনতে হলে ১৩০টাকা লাগে। আনুমানিক ৩০০টি থাকে কেজিতে। এখন আমরা বড় ব্যাগ রাখছি। তার দামও কেজি প্রতি ১৩০ টাকা। তবে এই ব্যাগ কেজিতে ৫০টিরও কম থাকে। তাহলে পাতলা অবৈধ ব্যাগের দাম পড়ে ৩০ পয়সা করে। আর বৈধ ব্যাগের দাম পড়ে যায় প্রায় তিন টাকা। এই অতিরিক্ত টাকা তো ক্রেতারা দিতেই চান না। আমরা আমাদের পকেট থেকেই দাম দিই। ক্ষতি হয়। ব্যাগ না দিলে তো আরও ক্ষতি হয় ব্যবসার। তাই অনেক দোকানদারই, বিশেষ করে ছোট ছোট দোকানদারেরা অবৈধ প্লাস্টিকের ব্যাগের ব্যবহার চালিয়ে যাচ্ছেন। ক্রেতারা নিজেরা ব্যাগ আনলেই আর সমস্যা থাকে না।